ঢাকা অফিস: ১০০ কোটি টাকা মূল্যর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মাদকের চালান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে এ মাদক বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য আসেনি বলে দাবি আটককারী সংস্থার।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ মাদক জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। পরে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) তানভীর মমতাজ জানায়, কোকেনের এই চালানটি আফ্রিকার দেশ মালউ অথবা ইথোপিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, এই পরিমাণ কোকেনের চাহিদা বাংলাদেশে নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চালান ডিএনসির হাতে এসেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো প্রথমে মালউ থেকে ইথোপিয়া যান। পরে তিনি ইথোপিয়া থেকে যান দোহাতে এবং দোহা থেকে কাতারের এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালউতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এ চালানটি মালউ অথবা ইথোপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানান, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন অ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢোকেন।
সোকো মালউতে পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এ চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে থাকা বিদেশি নাগরিকের কাছে এ চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সোকোর। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না, আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।