যশোর সদর-৩ আসনে নৌকা ও ঈগল প্রতীকে লড়াইয়ের গুঞ্জন

আব্দার রহমান,যশোর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর সদর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ।
দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মোহিত কুমার নাথ প্রবীন রাজনীতিবিদ হিসেবে সংসদ নির্বাচন  প্রথমবারের মতো ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়া এই প্রার্থীর লড়াইটা হবে আ.লীগ প্রার্থীর।
অন্যদিকে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট মাহবুব আলম বাচ্চু আছেন অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও। তবে মূল লড়াইটা হবে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের।
ভোটের দিন মূল লড়াইটা হবে ঈগল ও নৌকার প্রার্থীর মাঝে। ঈগলের প্রার্থী প্রবীন রাজনীতিবিদ ও নৌকার প্রার্থী দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রার্থীর মূল লড়াইটা হবে বলছেন দলীয় ও
স্থানীয় ভোটাররা। ফলে এবারের নির্বাচনে কাজী নাবিল আহমেদ ও মহিত কুমার নাথ ভোটের মাঠে ভিআইপি হয়ে উঠেছেন।
এই আসনে বিভিন্ন দলীয় প্রার্থীর ছড়াছড়ি হলেও ভোটাররা চিনেন না দল ও একাধিক প্রার্থীকে। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় অপরিচিত দলের প্রার্থী বেড়েছে এবারের নির্বাচনে।
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা খুব সহজেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সুযোগ নেই। একই দলের নেতা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ভোটের মাঠে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ফলে নৌকার প্রার্থী
কাজী নাবিল আহমেদের  ভোটযুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে টেক্কা দিতে হবে মোহিত কুমার নাথ কে।
আলোচনা আছে ভোটের দিন কাজী নাবিল আহমেদ ও মহিত কুমার নাথের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। আর এ নিয়ে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে দলীয় ও সচেতন ভোটারদের। এসব বিষয় নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা আলোচনা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদের সমর্থকদের দাবি কাজী নাবিল আবার ও এমপি হবেন। যশোর সদর -৩ আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটারা নৌকার ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিত কুমার নাথের সমর্থকদের দাবি ১৪ টা ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসে যদি ভোট দিতে পারে তাহলে ঈগল প্রতিক জয়লাভ করবে।
যশোর সদর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) প্রতিক নিয়ে বারবার  সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বেশ জনপ্রিয় লাভ করেন এডভোকেট মাহবুব আলম বাচ্চু।
তবে নৌকার প্রার্থীর পিতা সদ্য প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদ একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পপতি সামাজিক অঙ্গনে তার বেশ অবদান ছিলো।
এক অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) প্রতীকে মহিত কুমার নাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকতে পারবে। নির্বাচনকে তিনি উন্মুক্ত করেছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কারণে। দলের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন, নেতাকর্মীরা দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যও কাজ করতে পারবেন।
অপরদিকে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নৌকা মার্কা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এই নৌকার কারণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেলে সারা বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে, এই নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করা, এই নৌকাকে প্রতিরোধ করার সাধ্য কারো নাই।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা আরও বলেন, নৌকাকে যারা ফোটা করার জন্য বলে তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। নৌকার উপর আঘাত আনলে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। তাদেরকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে। উন্নয়নের মার্কা নৌকা মার্কা, বারবার দরকার শেখ হাসিনা সরকার।