যশোর পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ীর সামনে দোকানে চুরির চেষ্টা গ্রেফতার-৩

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র গাড়িখানার আলাউদ্দীন টাওয়ারের ২য় তলায় দোকানে চুরি করতে এসে ব্যবসায়ীদের হাতে দুই চোর ধরা পড়েছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ওই দোকানের কর্মচারী আরেক সহযোগী চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হচ্ছে,যশোরের মণিরামপুর থানার খানপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের মোল্লপাড়া বাঁশতলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওই দোকানের সাবেক কর্মচারী ইশান আরাফ,পাবনা জেলার চাটমহর থানার কুয়াবাসী গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী মোল্লাপাড়া আমতলার মীর ফারুকুল আলমের ছেলে মীর আব্দুল্লাহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার বাকা গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের মোল্লাপাড়া,বাঁশতলার এসএম রেজার ছেলে তাজউদ্দীন ওরফে জীমসহ অজ্ঞাতনামা ১/২জন।। গ্রেফতারকৃতদের চুরি মামলায় সোমবার ৪ ডিসেম্বর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার ৩ ডিসেম্বও দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের রেলগেট (আশ্রম রোড) এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আশরাফুজ্জামান। চুরির ঘটনা পুলিশ ফাঁড়ীর সামনের মার্কেটে।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,যশোর শহরের গাড়ীখানা রোডস্থ আলাউদ্দীন টাওয়ারের ২য় তলায় ফ্লাগশীপ এক্সচেঞ্জ নামক একটি মোবাইল ও ল্যাপটপের দোকান আছে। গ্রেফতারকৃত মীর আব্দুল্লাহ বাদির দোকানের বর্তমানে কর্মচারী এবং ইশান আরাফ বাদির পূর্বে কর্মচারী ছিল। গত ২ মাস পূর্বে ইশান আরাফকে তার কাজ কর্মে গাফিলতি দেখিয়ে বাদির দোকানের চাকুরী হতে তাকে অব্যাহতি দেয়। পরবর্তীতে গত ৩ ডিসেম্বর রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বাদি তার দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। ওই রাত ৯ টা ১০ মিনিটের সময় ইশান আরাফ ও তাজ উদ্দিন ওরপে জীম বাদির দোকানের মালামাল চুরি করার উদ্দেশ্যে তালা খোলার সময় স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উক্ত দুই চোরকে ধরে ফেলে। ইশান আরাফ বোরখা পরে মেয়ে সেজে বাদির দোকানে চুরি করতে আসে। বাদি তৎক্ষনিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে তার দোকানে আসে। থানা পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ এসে জনগনের কাছে ঘটনা শুনে দুই চোরকে হেফাজতে গ্রহন করে। গ্রেফতারকৃত দু’জনকে পুলিশ জনগনের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দু’জন জানায় মীর আব্দুল্লাহ বাদির দোকানের ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরি করার জন্য দোকানের চাবি ইশান আরাফের কাছে দেয়। ইশান আরাফের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ তাদের দু’জনকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে রোববার ৩ ডিসেম্বও রাত সোয়া ১০ টার পর শহরের দড়াটানা এলাকা হতে মীর আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করেন। মীর আব্দুল্লাহ ইশান আরাফের কাছে বাদির দোকানের মালামাল চুরি করার জন্য দেয় বলে সত্যতা স্বীকার করেন। উল্লেখিত আসামীসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ১/২জন পরস্পর যোগসাজসে বাদির দোকানের মালামাল চুরি করার উদ্দেশ্যে তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করার সময় স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা ইশান আরাফ ও তাজউদ্দিণ ওরফে জীমকে হাতে নাতে আটক করে। পুলিশ ইশান আরাফের কাছ থেকে বাদির দোকানের তালার চাবি এবং একটি কালো রংয়ের বোরখা উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা প্রস্তুত করেন।