যশোর কোতয়ালি পুলিশের এক এস আইয়ের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল আত্নসাতের অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর শহরতলীর পুলেরহাট তপসীডাঙ্গা থেকে আটককৃত দুই বিক্রেতাসহ ৩শ বোতল ফেনসিডিলের ২শ ৪৮ বোতল হজম করেছে কোতয়ালি পুলিশ। দুই আসামিসহ বাকি ৫২ বোতল জমা দিয়েছে। ফেনসিডিল ও আসামি আটকের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়।
স্থানীয় সূত্র ও আসামিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২২ নভেম্বর রাতে মোবাইল-১১ ডিউটি ছিলেন কোতয়ালি থানার এস আই ইয়াসিফ আকবর জয়ের। ওই দিন ভোরে মুড়লি মোড়ে তিনি টহলে যান। টহলরত অবস্থায় সোর্সের মাধ্যমে খবর পান বেনাপোল থেকে ৩শ বোতল ফেনসিডিলের একটি চালান প্রাইভেটকারে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এ খবরের ভিত্তিতে ইয়াসিফ আকবর জয় কিছু সময় মুড়লি মোড়ে অবস্থান করেন। এরপর তিনি মুড়লি মোড় থেকে সামনে পশ্চিম দিকে এগিয়ে পুলেরহাটে যান। সেখানে তিনি মিঠুর স মিলের সামনে থেকে বেনাপোল থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার দাড় করান। এরপর তল্লাসি করে প্রাইভেটকার থেকে ৩শ বোতল ফেনসিডিলসহ প্রবীর কুমার চক্রবর্তী ও প্রাইভেট চালক মাহাবুবুর রহমানকে আটক করেন। আটক প্রবীর নরেন্দ্রপুর গ্রামের বর্তমানে রেলগেট তেতুলতলা এলাকার দুর্গাপ্রসাদ চক্রবর্তীর ছেলে। মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি সদরের ফরিদপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। কোতয়ালি থানার এস আই ইয়াসিফ আকবর জয় ৩শ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজনকে আটকের পর কোতয়ালি থানায় খবর দেন। এখবর পেয়ে থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার আগেই এস আই ইয়াসিফ আকবর জয় ২শ ৪৮ বোতল ফেনসিডিল আতœসাত করেন। স্থানীয়, বেনাপোলের ফেনসিডিল বিক্রেতা ও আসামিদের সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার এস আই ইয়াসিফ আকবর জয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফেনসিডিল আতœসাতের কথা অস্বীকার করে বলেন, আসামিসহ ফেনসিডিল আটকের পর কোতয়ালি থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে আসার পর আসমিদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্র গুলি জানায়, প্রবীর বেনাপোলের শিবনাথপুরের ইদ্রিস আলীর ছেলে ঘেনার কাছ থেকে ২২ নভেম্বর ৩লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ শ বোতল ফেনসিডিল ক্রয় করে। এরপর মাহাবুবের প্রাইভেটকার ভাড়া করে ফেনসিডিল নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা রানার কাছে এই ফেনসিডিল বিক্রি করবে। ঢাকার বংশালে ইকরা অটো নামে মোটর সাইকেলের একটি শো রয়েছে রানার। প্রবীর প্রাইভেটকারে সেখোনে ফেনসিডিলগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। এর আগেও একটি ফেনসিডিলের চালান প্রবীর রানার কাছে নিয়ে বিক্রি করে। এটা ছিল তার দ্বিতীয় চালান। দ্বিতীয় চালান নিয়ে যাওয়ার সময় প্রবীর পুলিশের হাতে আটক হয়।