নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। তিনি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
দোলনের পক্ষে তার প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এর আগে গত রবিবার ফরিদপুর-১ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
গত শনিবার সকালে প্রার্থী হতে নিজের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জন্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে জন্ম নেওয়া মানবহিতৈষী পুরুষ প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সীর সুযোগ্য উত্তরসূরী আরিফুর রহমান দোলন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের সূর্য সৈনিক। কলেজজীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতির হাতেখড়ি নেন তিনি।
আরিফুর রহমান দোলন গোটা অঞ্চলে শিক্ষা, উন্নয়ন, মানবসম্পদে ভূমিকার পাশাপাশি একজন সাংবাদিক হিসেবেও দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস, অনলাইন পোর্টাল ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক।
কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন গুরুত্বপূর্ণ ফরিদপুরে-১ আসনে দীর্ঘ দুই দশক ধরে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। প্রপিতামহের নামে দোলনের গড়া সমাজসেবামূলক সংস্থা কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন গোটা অঞ্চলের দুস্থ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নিরলস ভাবে নানা ধরনের জনসেবামূলক কাজ করছে।
কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের চিকিৎসা দিয়েছে। কয়েক হাজার শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ২০ হাজারেরও বেশি কৃষক-শ্রমিক-মেহনতী মানুষের মাঝে ছাতা বিতরণ করেছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে অসহায় মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নানাভাবে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে আসছে।
ফরিদপুর-১ আসনের উন্নয়নে দোলন ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারি দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করে সর্বাত্মক নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন দুই দশক ধরে। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কামারগ্রামে সরকারি অর্থায়নে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-টিটিসি হয়েছে, যেটি গোটা অঞ্চলে অনেক দক্ষ জনবল তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও দোলন শিক্ষামূলক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ নানা প্রতিষ্ঠান গঠনে ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বদান্যতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঈদগাহ, কবরস্থান ও শ্মশানসহ অন্যান্য স্থাপনা সংস্কারেও দোলনের বহুমুখী উদ্যোগ ফরিদপুর-১ আসনের লাখো মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তিন উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট উন্নয়নের পাশাপাশি নানা সঙ্কটে দোলন সবসময় পরমাত্মীয়ের মতো মানুষের পাশে থাকেন। জনপদের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য দোলন এক নির্ভরতার নাম।
দোলন জোর দিয়েছেন মানুষের স্বনির্ভরতা বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ওপর। হাজার হাজার তরুণ, শিক্ষিত ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সৃষ্টি করেছেন জীবিকার সংস্থান।
দোলনের নেপথ্য ভূমিকায় আলফাডাঙ্গায় নির্মিত হয়েছে পাঁচশ আসন বিশিষ্ট বহুমুখী মিলনায়তন বা মাল্টিপারপাস হল। দোলন প্রতিষ্ঠা করেছেন বেগম শাহানারা একাডেমি। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। মধুখালীর বীরশ্রেষ্ঠ আবদুর রউফ স্মৃতি কমপ্লেক্সের অধিকতর উন্নয়নসহ দোলনের অন্যান্য সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডও মানুষের মুখে মুখে।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর-১ নির্বাচনি এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের গণসংযোগের মধ্য দিয়ে দোলন মুখরিত করেছেন এই আসন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিরলসভাবে চালিয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচার-প্রচারণা।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে সম্প্রতি ফরিদপুর-১ আসনে এক শোভাযাত্রায় দোলন বলেন, ‘আপনারা নিজেদের কাজ রেখে আমার সমর্থনে ছুটে এসেছেন। কারণ আপনারা ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের উন্নয়নের প্রতিফলন দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখুন, আমরা বিজয়ের মালা নিয়ে তাকে উপহার দিব। আগামী নির্বাচনেও আমরা দেশের উন্নয়নের প্রতিফলন দেখতে চাই।