যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদরের ডাকাতিয়া গ্রামে সেচ প্রকল্পের ১৬ সদস্যের সাথে প্রতারণা করে সম্পাদক নিজের নামে গভীর নলকুপ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সমিতির সদস্য ও কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন বোরো মৌসুমে চাষাবাদ নিয়ে আতংকে রয়েছেন কৃষকরা। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ সদস্যদের পক্ষে সেচ প্রকল্পের সভাপতি ইজাহার আলী স¤প্রতি আদালতে মামলা করেছেন। একই সাথে অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কাছে।
অভিযোগে জানা গেছে,, যশোর সদরের ডাকাতিয়া এলাকায় সেচ প্রকল্পের আওতায় ১৮ সদস্যের একটি কমিটি করে সমিতির মাধ্যমে ১৬০ বিঘা জমি চাষাবাদ করা হচ্ছিল। এলাকার ইজাহার আলীকে সভাপতি ও বজলুর রহমানকে সম্পাদক করে চলছিল ১৮ সদস্যের ওই সেচ প্রকল্পের কমিটি। জমিতে সেচের জন্য সভাপতি ইজাহার আলীর বৈধ ভোগদখলীয় জমিতে গভীর নলকুপ স্থাপন করে চাষাবাদ শুরু করেন ২০০৬ সাল থেকে। কিন্তু সেচ প্রকল্পের সম্পাদক বজলুর রহমান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কৌশলে গোপনে সমিতির নাম ব্যবহার না করে নিজের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। বিষয়টি সমিতির লোকজন জেনে গেলে তিনি শালিসে, সমিতির নাম ব্যবহার না করে ভুল করেছেন বলে তিনি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং একটি অঙ্গীকার নামা করে দেন।
সুচতুর সম্পাদক বজলুর রহমান সরকারি দপ্তরকে ম্যানেজ করে গভীর নলকুপটি অকেজো দেখিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করেই ২০০ গজ দুরে গোপনে আর একটি গভীর নলকুপ স্থাপনের জন্য লাইসেন্স বের করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, মূল সমিতির গভীর নলকুপটির বিদ্যুৎ লাইন কেটে নিজের নতুন নলকুপে আনার অপচেষ্টা করছেন। প্রকল্পের সভাপতি ইজহার আলীর নেতৃত্বে এলাকাবাসীর আগের গভীর নলকুপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সেচ কার্য পরিচালনা করছেন। চলমান কর্মকান্ডের ব্যাপারে বজলুর রহমানকে বাধ সাধায় মুল নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে নেয়ার চেষ্টা করেন এবং ইজাহার আলীর ও সমিতির সদস্যদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছেন। সম্পাদক বজলুর রহমানকে নিবৃত করতে ব্যর্থ হয়ে সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। বজলুর রহমানের কারণে এলাকার সাধারণ কৃষকরা আতংকে রয়েছেন। আসছে মৌসুমে ধান আবাদ করতে না পারার শঙ্কায় রয়েছেন। কাজেই ২০০৬ সালের মূল নলকুপটির লাইসেন্স বহাল ও বজলুর নতুন লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকল্পের সম্পাদক বজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুরোনো নলকুপটি অকেজো পরিত্যাক্ত ও পানি ওঠেনা। বালি কাঁদা মাটি ওঠে। কৃষকদের চাষে সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে পাশে নতুন করে বোরিং করা হয়েছে তার নিজের জমিতে। প্রতারণার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বৈধভাবেই লাইসেন্স নিয়েছেন, কৃষকের সেচ কাজে ভূমিকা রাখতে চান বলে জানিয়েছেন।#