বিশেষ প্রতিনিধি
নিজেকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের খূলনা বিভাগীয় অডিটর পরিচয় দিয়ে এক জনকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের প্রজেক্ট দিবে বলে ২লাখ ৮০ হাজার ও অপর জনকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ড্রাইভার পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ১৫ নভেম্বর মামলাটি করেন যশোর দেশ ক্লিনিক এর মার্কেটিং অফিসার। মামলায় আসামী করেন, যশোরের মণিরামপুর থানার চান্দুয়া গ্রামের মৃত মোতালেব খানের ছেলে হুমায়ুন কবির। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এসআই অমিত কুমার দাস প্রতারক হুমায়ূন কবিরকে গ্রেফতার করে বুধবার ১৫ নভেম্বর বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলায় দেশ ক্লিনিক এর মার্কেটিং অফিসার উল্লেখ করেন, তাদের ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর রেশমা বেগম এর সাথে প্রতারক হুমায়ূন কবির এর পূর্ব হতে পরিচয়। পরিচয়ের সুবাদে হুমায়ূন কবির নিজেকে খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তওে অডিটর অফিসার হিসেবে চাকুরী করে বলে পরিচয় দেয়। আসামী বাদিকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পের প্রজেক্ট পাশ করে দিতে পারবে। হুমায়ূন কবিরের কথায় বিশ^াস করে বাদি গত ২৭ জুলাই সকাল অনুমানি ১০ টায় সিটি প্লাজার মার্কেটে যেতে বলে। বাদিসহ তার স্বামী শফিয়ার রহমান,চাচাতো ভাই ইকবাল হোসেনকে সাথে নিয়ে ওইদিন সিটি প্লাজার মার্কেটের মধ্যে প্রজেক্ট পাশ করে দেওয়ার কথা বলে বাদির স্বামী ও চাচাতো ভাই ইকবালের সামনে ২লাখ ১০ হাজার টাকা হুমায়ূন কবিরকে প্রচার করে। বাদির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসামী প্রজেক্ট পাশ করে না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে অজুহাত দেখায়। আসামী বাদির কাছে আরো ৭০ হাজার টাকা না দিলে প্রজেক্ট বাদিকে দিবে না। বাদি গত ১০ আগষ্ট নারাঙ্গালী বাজারে বিকাশ এজেন্ট নাম্বার হতে হুমায়ূন কবিরের পার্সোনাল নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা ও ১৫ আগষ্ট একই বিকাশ এজেন্ট থেকে হুমায়ূন কবিরের পার্সোনাল নাম্বারে ২০ হাজার টাকা প্রদান করে। এর পর হতে হুমায়ূন কবিরের নাম্বারে বাদি যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে হুমায়ূন কবিরের নাম্বারটি বন্ধ পান। বাদি হুমায়ূন কবিরের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হযে ঘটনার বিষয়ে তাদের ওয়ার্ডেও মেম্বর মোছাঃ রেশমাকে জানান। তখন রেশমা বেগম বাদিকে জানান যে, উক্ত হুমায়ূন কবির রেশমা বেগমের ছেলে রুহুল কুদ্দুসকে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ড্রাইভার পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে গত ১৬ মে দুপুর আড়াইটায় ধর্মতলা মোড়ের উপর হতে রেমশা বেগমের ছেলে রুহুল কুদ্দুস এর সামনে রেশমার কাছ থেকে নগদ ১লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রতারক হুমায়ূন কবিরকে প্রদান করে। পরবর্তীতে প্রজেক্ট পাশ না করে ও রেশমা বেগমের ছেলেকে চাকুরী না দিয়ে বাদির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাদি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন হুমায়ূন কবির খুলনা বিভাগীয় সমাজ সেবা অধিদপ্তরে অডিটর অফিসার হিসেবে চাকুরী করে না। এমনটি তার কোন পেশা নেই। উক্ত হুমায়ূন কবিরসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন আসামী পরস্পর যোগসাজসে তাদের সাথে বিশ^াস স্থাপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিশ^াসভঙ্গ করে বাদি নিকট হতে নগদ ও রেশমা বেগমের কাছ থেকে তার ছেলের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে উল্লেখিত টাকা হাতিয়ে আত্মসাত করে। বুধবার ১৫ নভেম্বর দুপুর দেড়টার পর সদর থানার রাজারহাট মোড় হতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে গ্রেফতার করে।#