যশোরে প্রতিবন্দ্বী যুবক সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর জখমের ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
বন্ধুর উপকার করতে এসে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রতিবন্দ্বি যুবক নিহাদুল ইসলাম হৃদয় ( ২৫ ) কে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় প্রতিবন্দ্বি যুবকের মাতা যশোর শহরের শংকরপুর হাজারী গেট (কামরুজ্জামান এর বাড়ির ভাড়াটিয়া) মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা আক্তার লাকী বাদি হয়ে শনিবার ১১ নভেম্বর বিকেলে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আসামী করেন,শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া কলেজ মোড় মোশারেফ মোল্লার ছেলে সোহাগ হোসেন,্ সহোদর মনির হোসেন, আনসার আলীর ছেলে রওশন, রওশনের ছেলে রকি, হজো,রায়হান হোসেনের ছেলে সোহরাব হোসেন,জুয়েল হোসেন,আনসার আলীর ছেলে কাশেমসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জস।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছোট ছেলে নিহাদুল ইসলাম হৃদয় একজন শারিরীক প্রতিবন্দ্বী। সে শহরে শংকরপুর ছোটনের মোড়স্থ নুরনবী মেম্বরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে যশোর শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। আসামীরা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়।নিহাদুল ইসলাম হৃদয়ের বন্ধ্ ুএকই বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজুর রহমানের ছেলে মুছা এর সাথে গত ১০ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ৫ টায় মুছার শ্বশুর বাড়িতে মুছা তার বৌকে নিয়ে আসার জন্য যায়। সোহাগের সাথে মুছার বৌ এর পরকীয়া প্রেমের সম্পার্ক থাকায় সে মুছার বৌকে মুছার সাথে আসতে দেয় না। তখন মুছা সেখানে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করলে নিহাদুল ইসলাম হৃদয় মুছাকে রিকশা যোগে বাড়িতে ফেরত নিয়ে  আসার  সময়  বিকেল সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় শংকরপুর যশোর কলেজ রোডস্থ টাওয়ার এর সামনে গলির ভিতরে শাহাবুদ্দিন এর বাাড়ির সামনে পৌছালে উল্লেখিত সকল আসামীরা তাদের সহযোগী  অজ্ঞাতনামা আামীদের সহায়তায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নিহাদুল ইসলাম ও মুছার পথের গতিরোধ করে। সোহাগ হোসেনের হুকুমে সকল আসামীরা অর্তকিত ভাবে নিহাদুল ইসলাম ও তার বন্ধু মুছার উপর আক্রমন করে। তছন মুছা দৌড়ে পালিয়ে গেলে শারিরীক প্রতিবন্দ্বী যুবক নিহাদুল ইসলামক্ ে এলোপাতাড়ীভাবে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হত্যার হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নিহাদুল ইসলামকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  চিকিসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।#