যশোরে পূর্ব শত্রুতার কারনে যুবককে মারপিট পূর্বক স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রেশমা বেগম (২৭) নামে এক নারীকে গালিগালাজ করার প্রতিবাদে রড দিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট ও গলায় থেকে ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক পূর্ব অংশ এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে রেশমা বেগম। মামলায় আসামি করা হয়, শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়ক নতুন বাস টার্মিনালের উত্তর পাশের্^ কবির হোসেনের ছেলে বাঁধন, একই এলাকার মৃত মকবুল মিয়ার ছেলে কবির হোসেন, শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার স্ত্রী বকুল বেগমকে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, আসামীরা ঝগড়াটে, ফেতনাকারী,সন্ত্রাসী,পরসম্পদলোভী,দুর্দান্ত, গুন্ডা-পান্ডা আইন অমান্যকারী ব্যক্তিবর্গ হচ্ছেন। আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ অক্টোবর সকাল ১০ টায় শংকরপুর নতুন বাস টার্মিনাল,ইজিবাইক স্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক মিজানের মুদি দোকানে মালামাল আনতে বাদি যান। দোকানের পাশে থাকা বাঁধন, কবির হোসেন বাদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধওে মা,বোন তুলে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন বাদি প্রতিবাদ করতে গেলে কবির হোসেনের হুকুমে বাঁধন দোকান হতে লোহার রড বের করে কবির হোসেন বকুল বেগম বাদিকে জাপটে ধরে রাখে তখন বাঁধন বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে বাদির মাথার মাঝ বরাবর কপালে এবং নাকে আঘাত করে নাকের হাড় ভাঙ্গাসহ গুরুতর জখম হয়। কবির হোসেন বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদির চোখে আঘাত করলে বাদির দ্ইু চোখ নাক,মুখসহ বিভিন্নস্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়।বাদি মাটিতে পড়ে গেলে বকুল বেগম বাদির চুলের মুঠো ধরে চিৎ করে ফেলে ইট দিয়ে আঘাত করলে বাদি অজ্ঞান হয়ে যায়। এর পর বাঁধন ও কবির হোসেন বাদিকে কিল ঘুষি লাথি মেওে বাদির গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। বাদির পরনে থাকা পোশাক টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটনায় বকুল বেগম বাদির গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে ছিড়ে নেয়। বাদির মা সুফিয়া বেগম দেখে চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ঠেকাতে এলে তাদেরকের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী দিয়ে আসামীরা দ্রুত চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বাদি পরিবার বর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে বাদি আদালতে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা হিসেবে গ্রহন করে।