যশোরে এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় চারজনের নামে থানায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি 
প্রকাশ্যে সিয়াম মাহমুদ নিলয় (১৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার ১ নভেম্বর রাতে মামলাটি করেন, আহত যুবকের পিতা যশোর শহরের পুর্ব বারান্দী মোল্যাপাড়ার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ মাহমুদ জুয়েল। মামলায় আসামী করেন,যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর চান্দেও মোড়ের ফািরদ ড্রাইভারের ছেলে সাকিব, একই এলাকার তামিম, তানভীর, প্লাবন।
মামলায় ফিরোজ মাহমুদ জুয়েল উল্লেখ করেন, আসামীরা গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত অনুমান ৯ টার সময় তামিম নিলয়ের বন্ধু রাতুল (১৬)কে মোবাইল ফোনে ফোন দেয় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধওে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকী দিতে থাকে। ওই সময় বাদির ছেলে নিলয় তার বন্ধু রাতুলের পাশে ছিল। তামিমের মোবাইল ফোনে রাতুলকে গালিগালাজ করাসহ হুমকী ধামকী দিতে থাকায় বাদির ছেলে রাতুলের মোবাইল ফোন নিয়ে তামিমের সাথে কথা বলে এবং ঝগড়াঝাটি না করে সমস্যা সমাধান করে নেওয়ার জন্য বলে। যার প্রেক্ষিতে তামিম বাদির ছেলে নিলয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। গত বুধবার ১ নভেম্বর দুপুর ১২ টার পর ঝুমঝুমপুর বটতলা নামকস্থানে নিলয় দাড়িয়ে ছিল। নিলয়ের বন্ধু বারান্দী মোল্যাপাড়ার মাছুম বিল্লাহর ছেলে হৃদয় হাসান, একই এলাকার ইয়াছিনের ছেলে পায়েল বটতলার কাছেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। ওই সময় আসামীরা সকলেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে এসে বদির ছেলে নিলয়ের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় করতে থাকে। এক পর্যায় সাকিব ধারালো চাকু দিয়ে নিলয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে আঘাত কওে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামীরা নিলয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে কিল,ঘুষি মেওে নীলা জখম করে। নিলয় জীবন বাঁচানোর জন্য ডাক চিৎকার দিলে ছেলের বন্ধু হৃদয় হাসান পায়েলসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। ওই সময় নিলয়ের বন্ধু হৃদয় হাসান ও পায়েল বাদির পরিবারকে সংবাদ দিয়ে নিলয়কে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাদি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে বিছানায় এসে ছেলে ও নিলয় এব পায়েলের কাছে ঘটনা শুনে। বর্তমানে নিলয় হাসপাতালের আইসিইউতে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। বাদি তার ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ঘটনার বিষয় বিস্তারিত শুনে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানা মামলা করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ত্রাসীকে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।#