যশোর পৌর সভার পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে বহিরাগতরা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর পৌরসভার পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে মাছ মেরে নেয়া হচ্ছে। বহিরাগতরা বিভিন্ন সময় গোপনে এসে মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে। এর নেপথ্যে ইন্ধন দিচ্ছে পৌরসভার কতিপয় কাউন্সিলর। বহিরাগতরা মাছ মেরে নিয়ে যাওয়ার ফলে পৌরকর্তৃপক্ষ  লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এতে নাগরিক উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। এদিকে মাছ মারা নিয়ে পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
একাধিক অভিযোগে জানা গেছে, পৌরসভার ১,২,৩ সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আইরিন পারভীন ডেইজি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোককে পাশ দিয়ে পৌরসভার পুকুরে অবৈধ ভাবে মাছ ধরার অনুমতি দেয়। দুই সপ্তাহ আগেও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ডেইজির দেয়া পাশে কয়েকজন পৌর সভার পুকুর থেকে এক দেড়মন মাছ ধরে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও একই কাজ করেছে আইরিন পারভিন ডেইজি। ষষ্ঠীতলা এলাকার শওকতকে পৌরসভার পুকুরে অবৈধ ভাবে মাছ ধরার অনুমতি দেয় ডেইজি। ডেইজি ছাড়াও একাধিক কাউন্সিলর ও একজন সুপার ভাইজার বহিরাগতদের নিয়ে পৌর পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে মাছ ধরে। ফলে এই পুকুর থেকে পৌর সভার মাসে প্রায় কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। মাছ ধরার বিষয়ে পৌর সভার সহকারি প্রকৌশলী কামাল আহমেদ জানান, পৌরসভার পুকুরে দুই সপ্তাহ ধরে মাছ মারা বন্ধ রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, মাছের গায়ে ঘাঁ হওয়ার কারণে পৌরকর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগে প্রথমে যখন টিকিট ছাড়া হয় ওই সময় ৭০ থেকে ৮০ টা টিকিট বিক্রি হয়েছে। এরপর ৫/৬ টা টিকিট বিক্রি হয়। বর্তমানে পৌর সভার পুকুরে মাছ মারা বন্ধ রয়েছে। মাছ ধরার বিষয়ে প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা আবু নাসির জানান, টিকিটের মাধ্যমে মাছ ধরার নিয়ম আছে। আমরা কিছু দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি। বহিরাগতদের দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মাছ ধরার কোন নীতিমালা নেই। আমরা মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দিই। কিন্তু এ গুলো অনেক সময় সঠিক ভাবে পালন করা হয় না। পৌরসভার মেয়র মহোদয় এবিষয়ে বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শুক্রবারে মাছ ধরার অনুমতি দেয়া হয়। টিকিট ছাড়া মাছ ধরা নিষেধ আছে। আমি শুনেছি কয়েকজন কাউন্সিলর মাছ ধরার অনুমতি দেয়।
এদিকে পৌর কাউন্সিলররা অবৈধ ভাবে মাছ ধরা ছাড়াও ইতিপূর্বে পৌর এলাকার সব বাড়ি থেকে পৌরকর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ময়লা ফেলার টাকাসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে মোট অংকের টাকা পয়সা আদায় করে। এবিষয়টি স্থানীয় গনমাধ্যমেও প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়র অবৈধ ভাবে মাছ ধরা ও টাকা উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে পৌর মেয়র কাউন্সিলরদের ভয় পায়। যে কারণে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে মেয়রে কোন ব্যবস্থা নেয় না।