যশোরে কলেজ শিক্ষার্থী অপহরনের ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন (১৭) নামে এক তরুনীকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে প্রাইভেট কারযোগে জোরপূর্বক অপহরন করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার ১৮ অক্টোবর রাতে মামলাটি করেন, যশোরের কেশবপুর উপজেলার মাগুরখালী গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড বাসা নং ১৯৭,৩নং ওয়ার্ড আব্দুস সোবহান মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান। মামলায় আসামী করা হয়েছে একই পরিবারের ছেলে পিতা ও মাতা। আসামীরা হচ্ছে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার উত্তর চর সাধীপুর গ্রামের হায়াত শেখ এর ছেলে মিজান শেখ,  মিজানের পিতা হায়াত শেখ ও মা মোছাঃ ডলি বেগম।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার নাবালিকা ভাইজি মোছাঃ সুরাইয়া খাতুন কেশবপুর উপজেলার মাগুরখালী গ্রামের রাজিকুল ইসলামের মেয়ে। সে কেশবপুর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন পুর্ব হতে সুরাইয়া খাতুন তার কলেজে যাওয়া আসার পথে উক্ত মিজান শেখ বাদির ভাইজিকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে উত্যাক্তসহ বিভিন্নভাবে ফুসলাতে থাকে। সুরাইয়া বিষয়টি তার পিতা মাতা ও চাচাকে জানালে পরিবারের বিষয়টি মিজান শেখসহ তার পিতা মাতাকে ঘটনার বিষয় জানালে তারা বাদি ও তার ভাই ভাবীর উপর চড়াও হয় এবং খারাপ ব্যবহারসহ তাদের মেয়েকে অপহরণ করার হুমকী দেয়। এক পর্যায় গত ১২ অক্টোবর সুরাইয়া খাতুন বাদির ভাড়াটিয়া বাড়ি ঘোপে বেড়াতে আসে। গত ১৪ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১ টায় বাদির ভাইজি সুরাইয়া খাতুন চাচার ভাড়াটিয়া বাড়িতে অবস্থানকালে মিজান শেখ সুরাইয়া খাতুনকে সুকৌশলে বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর ডেকে নিয়ে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে মিজান শেখ তার পিতা হায়াত ও মা  ডলি বেগমের সহায়তায় একটি অজ্ঞাত নামা প্রাইভেট কারে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে হায়াত শেখ ও ডলি বেগমের মোবাইল ফোনে ফোন করলে তারা জানান সুরাইয়া খাতুন তাদের হেফাজতে আছে। বাদিসহ তার ভাই রাজিকুল ইসলামসহ অনেকে আসামীদের বাড়িতে যেয়ে সুরাইয়া খাতুনকে ফেরত চাইলে তারা বাদির ভাইজিকে ফেরত দিবেনা বলে জানায় এবং বাদির পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। পরে কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃতা তরুনীকে উদ্ধার ও অপহরনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইমুন হোসাইন।