আদালত অবমাননা করে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে জমি দখল ও হামলার অভিযোগ

বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: কোর্টের আইন অবমাননা করে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যশোর-সাতক্ষীরা সীমানা প্রাচীরের পশে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সরুত আলী নামে এক বৃদ্ধার বসতবাড়ি ও দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাত টার সময় উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের বাগুড়ী বেলতলা বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সুরুত আলী শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদেরা আমার প্রতিবেশি হওয়ায় পূর্বে থেকেই জমি জমা নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ করে আসছিলো। আমি এবং আমার পরিবার ভূমিহীন হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে কিসমত ইলিশপুর মৌজার সরকারি খাস জায়গায় বসবাস করে আসছি। মাজেদ পালোয়ান বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক এই জমি বেদখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। কিসমোত ইলিশপুরের মাজেদ পালোয়ান ও তার দুই ছেলে আনারুল ইসলাম ও কবিরুল ইসলামের নেতৃত্যে ৩০/৩৫ নিয়ে আমার দোকান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করে। এতে বাধা দেওয়ায় সুরুত আলিসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে মারধর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মাজেদ পালোয়ান ও তার দুই ছেলে আনারুল ইসলাম এবং কবিরুল প্রভাবশালী হওয়ায় পূর্বেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। মাজেদ পলোয়ান জামায়াত-বিএনপির এজন সক্রিয় নেতা। একাধিক মামলার আসামী হওয়ার সর্ত্ত্বেও তাকে আইনের আওতায় আনা যায় না। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, জমি দখল ও সরকারি গাছ কাটাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সুরুত আলী জানান, আমরা পরিবার খুবিই অসহায়। আমার পরিবারে উপার্জন করার মত কেউ নেই যে ছিলো, সে ১৩/১৪ সালের জামায়াত শিবিরের পের্টোল বোমায় নিহত হয়েছিলো। এখন আমাদের দেখার মত কেউ নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এই জমিতে আমার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছি। মাজেদ পালোয়ান, তার দুই ছেলে আনারুল ইসলাম ও কবিরুল ইসলামসহ ৩৫ /৪০ জন দেশীয় অস্ত্র দা, কুড়াল ও লাঠি নিয়ে জমি দখলের জন্য তার বসত বাড়িতে ও দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমি, স্ত্রী, ছেলে ও আমার বৌমাসহ সকলকে বেধর মারপিট করে।

অভিযুক্ত মাজেদ পালোয়ানের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে তার বাড়িতে গেলে তাহার স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বলেন, আমার স্বামী এবং ছেলেরা বাড়িতে নেই। আপনারা ঐ সব ভিডিও করে যা ইচ্ছা, তাই করেন।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার (ওসি) তদন্ত তাইজুল ইসলাম জানান, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পাশাপাশি ভিকটিম সুরত আলী সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার এর কাছেও অভিযোগ করেছেন। যা তদন্ত করে থানার (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।