যশোরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র  করে হামলায় ঘটনায় মামলা 

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রী ও তাদের মেয়েকে উত্যক্তসহ মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোরের ঝিকরগছা উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে রসেল হোসেন। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ছাব্বির হোসেন, একই গ্রামের ডালিম হোসেনের ছেলে সজিব হোসেন, ডালিম হোসেনের স্ত্রী পান্না বেগম, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আলিম ও আব্দুল আলিমের স্ত্রী রুমা খাতুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় রাসেল উল্লেখ করেন, আসামীদেও বাড়ি ও ভগ্নিপতি আনিছুর রমানের বাড়ি পাশাপাশি। বাদির ভগ্নিপতি আনিছুর রহমান ওই গ্রামের পান্না বেগমের কাছে ১লাখ ২০ হাজাার টাকা পাবে। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে বাদির বোন হাসিনা বেগগম ও ভগ্নিপতি আনিছুর রহমানের সাথে পূর্ব হতে শত্রুতা ও মনোদ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়া, আসামী ছাব্বির হোসেন ও সজিব হোসেন বাদির ভাগ্নি জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া (১৭)কে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আজে বাজে কথা বলে। বাদির ভাগ্নিœ তাদের কথায় রাজী না হওয়ায় তারা বাদির ভাগ্নিকে জোর করে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। তারই জের হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টায় আসামীরা বাদির ভগ্নিপতির ঘরের চালের উপরে ইট পাটকেল মারে, তখন বাদির ভগ্নিপতি বোন ও ভাগ্নি বাড়ি হতে বাড়ির সামনে এসে আসামীদের দেখে ইটপাটকেল মারে। তখন বাদির ভগ্নিপতি বোন ও ভাগ্নি বাড়ি হতে বের হয়ে বাড়ির সামনে আসামীদের দেখে ইটপাটকেল মারার কারন জানতে চাইলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীর হাতে ধারালো দা,লোহার সাবল, ইট,পাটকেল ও লাঠিসহ দিয়ে বাদির ভগ্নিপতি আনিছুর রহমানকে আক্রমন করে আসামী পান্না বেগম এর হুকুমে আসামী আলিম আনিছুর রহমানকে পাজা করে ধরে তখন ছাব্বির হোসেন ধারালো দা দিয়ে আনিছুর রহমানকে খুন করার উদ্দেশ্যে স্বজোওে মাথায় কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন আনিছুর রহমান মাটিতে পড়ে গেলে সাব্বির হোসেন,পান্না আলিম রুমা খাতুন বাশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তার নাকে মুখে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে রক্তমাখা ও নিলা ফোলা জখম করে।তখন তাদের ডাক চিৎকারে বাদি তাদের বাড়িতে অবস্থান করা কালে বাদি ও স্থানীয় লোকজন শরিফুল ইসলাম, হামিদা বেগম, আরাফাত হোসেন,শাহিন হোসেনসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদিসহ তার ভগ্নিপতির পরিবারকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকী প্রদর্শন করে দ্রুত চলে যায়। বাদি ও স্থানীয় লোকজন আনিছুর রহমানকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।#