ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে পিটিয়ে জখম দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি এডিসি হারুনের

ঢাকা অফিস: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে- এমন অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তারা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শনিবার শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নারীঘটিত একটি বিষয়ের জেরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
থানায় নিয়ে দুই নেতাকে পেটানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। তারা এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল আমিন রহমান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বন্ধু আনোয়ার হোসেন নাঈমের পাশে আছি আমরা। সবাই তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সাইকোপ্যাথ ছাড়া কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না।
আরেক সহসভাপতি শরিফুল আলম লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগ আসলেই এতিমদের সংগঠন। কাল থেকে আমাদের হাতে চুরি পরে ঘরে বসে থাকা উচিত।’
উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন লিখেছেন, ‌‘এডিসি হারুন একজন সন্ত্রাসী। বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় সাহস বেড়ে গেছে। ঢাকা কলেজের অনেকগুলো ছাত্রের জীবন নষ্ট করেছে। তার বিচার না হলে থামব না।
আহত নাঈমের ছবি শেয়ার করে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ লিখেছেন, ‘আমার ছাত্রলীগের ছোট ভাই, কেন এমন হলো, কী জন্য এমন হলো জানতে চাই। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো ঘটনা!
ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি লিখেছেন, ‘আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং শরীফ আহমেদ মুনিমের ওপর যে বর্বরতা চালানো হয়েছে তার কঠোর বিচার দ্রুত নিশ্চিত হোক। বাংলাদেশের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব বর্তমান ছাত্রলীগের সবার।
এর আগেও নিজ সহকর্মীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড়, সাংবাদিক নির্যাতন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বৃদ্ধির আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলার অভিযোগ আছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক, বিক্রেতা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিজ সহকর্মীকে চড় মারেন এডিসি হারুন। ঘটনাটির একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। এছাড়াও, বিভিন্ন আন্দোলন দমনে তাকে লাঠি হাতে আন্দোলনকারীদের পেটাতে দেখা যায়।
এর আগে সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের পেটান হারুন। প্রতিবার পুলিশ তার ঘটনায় শুধু দুঃখ প্রকাশ করে।