যশোর থেকে ১৪লাখ টাকা মূল্যের পিকআপ চুরির ঘটনায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারস্থ আল হেলাল কমপ্লেক্স এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি পিকআপ গাড়ী চুরির ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।বুধবার ৬ সেপ্টেম্বও রাতে মামলাটি করেন, সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজার আল-হেলাল কমপ্লেক্স এর বিপরীত পাশে বাড়ির মালিক মৃত মির্জা আব্দুল আলীর ছেলে মির্জা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। মামলায় আসামী করেন অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, মাহেন্দ্র কোম্পানীর ব্লোরো সাদা,ব্লু  ও মাফা ইয়ালো রংয়ের সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ যার রেজিষ্ট্রেশন নং (যশোর-ন-১১-১৩২৯) যার মূল্য ১৪লাখ টাকা। উক্ত পিকআপ গাড়ীটি গত ২৯ আগষ্ট রাত ৯ টায় চালক সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের ইনহাজ মোল্যার ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদির বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার পাশে রেখে গাড়ীর গেট লক করে রেখে বাদিকে অবহিত কওে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে ৩০ আগষ্ট রাত  ১২ টা বেজে ৫ মিনিটের সময় গাড়ির শব্দ পেয়ে বাদির স্ত্রী মোছাঃ নুরুন্নাহার বেগম টের পেয়ে বাইরে এসে গাড়ি না দেখতে পেয়ে বাদি ও অন্যান্যদের ডাক দিলে বাদি ও তার ছেলে মির্জা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বাড়ির বাইওে এসে দেখেন বাদিও উল্লেখিত নাম্বারের গাড়ীটি নেই। বাদি গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাকার এর মাধ্যমে সর্বশেষ ৩০ আগস্ট রাত ১২ টা বেজে ১০ মিনিটে দেখতে পান ঝুমঝুমপুর বীজ গোডাউনের সামনে অবস্থান করছে। বাদি ৯৯৯ এর কল দিলে তারা নড়াইল রোডের পুলিশকে জানায়। কিন্তু গাড়ীটি খুজে পাওয়া যাইনি। অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা ২৯ আগষ্ট রাত ৯ টার পর হতে ২৯ আগষ্ট রাত ১১ টা ৫৮মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় বাদির পিকআপটির তালা কৌশলে খুলে চুরি করে ঝুমঝুমপুর এলাকায় অবস্থান কওে গাড়ির ট্যাকারটি ভেঙ্গে পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকার লোকজনকে জানিয়ে চোরের সন্ধান না পেয়ে ও চোরকে সনাক্ত করতে না পেরে কোতয়ালি থানায় চুরি মামলা করেন।