যশোরে সৌদি প্রবাসীর এক মাত্র বোনকে অপহরনের ২২দিন পর উদ্ধার মামলা ও গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
সৌদি প্রবাসী পিতা মাতার এক মাত্র মেয়ে মোছাঃ বিলকিস খাতুন (১৬)কে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে জোর পূর্বক অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগে ২২ দিন পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।পুলিশ অপহরনের অভিযোগে অপহরনকারী আল শাহরিয়ারকে আটক ও অপহৃতা বিলকিস খাতুনকে উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ১৮ জুলাই বিকেলে মামলাটি করেন, যশোর শহরের আরবপুর সরদার বাড়ির মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে অপহৃতার নানা মহাসিন আলী বিশ^াস। মামলায় আসামী করেন, যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার আব্দুল হান্নানের ছেলে আল শাহরিয়ারকে। গ্রেফতারকৃতকে আদালতে সোপর্দ ও অপহৃতার ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারার  জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদির মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন দিপা এবং তার স্বামী আলমগীর হোসেন উভয় বর্তমানে সৌসি প্রবাসী। সেই সুবাদে তাদের মেয়ে মোছাঃ বিলকিস খাতুন পুরাতন কসবা ঘোষ পাড়াস্থ বর্তমান বাসায় থেকে পড়াশুনা করে। বিলকিস খাতুন চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আসামীর বাড়ি এবং বিলকিস খাতুনদের বাড়ি একই এলাকার পাশাপাশি হওয়ায় উভয়ের মধ্যে পূর্ব হতে পরিচয় আছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাদির নাতনীকে আসামী প্রায়ই সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ উত্যক্ত করে আসছিল। গত ২৬ জুন দুপুর বেলা পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকা আকিজ গলির মোড় নামকস্থানে বাদির নাতনী পায়ে হেটে  নানার বাড়িতে আসার পথিমধ্যে নিখোঁজ হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায় ১৬ জুলাই কোতয়ালি থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। পরবর্তীতে বাদি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন ঘটনার দিন ২৬ জুন দুপুর ২টা বেজে ৫০ মিনিটে পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা আসামী আল শাহরিয়া উক্তস্থান থেকে বিলকিস খাতুনকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে জোর পূর্বক বাদি নাবালিকা নাতনীকে অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্সন করে। ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বাদি কোতয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় ভোর সাড়ে ৪ টায় খুলনা রুপসা থানার আইচগাতী গ্রামের রমজান আলীর বাড়ি অর্থাৎ আল শাহরিয়ার বড় বোন বিথী খাতুন রুমীর বাড়ি হতে আল শাহরিয়াকে গ্রেফতার ও অপহৃতা বিলকিস খাতুনকে উদ্ধার করে।#