যশোরে ধর্ষণের সহযোগীতা করায় মামলায় স্কুল শিক্ষকসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত চার্জশিট

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে অভয়নগরে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রতারনা করে বিয়ে ও ধর্ষণের মামলার কাজী স্কুল শিক্ষকসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হরশিত রায়।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, বুইকারা গ্রামের মৃত খোরশেদ আহম্মেদের ছেলে ও স্থানীয় স্কুলের মৌলভী শিক্ষক রুহুল আমিন, মৃত শাহ আলমের স্ত্রী সখিনা বেগম, ছেলে হাফিজুর রহমান, আজিজুর রহমান, মেয়ে আকলিমা বেগম, সাহেদ আলী হাওলাদের মেয়ে রোকেয়া বেগম, আবু বক্কার সিদ্দিকীর মেয়ে তাহেরা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, হাফিজুরর দুঃসম্পর্কের খালা রোকেয়া ওই ছাত্রীর মার কাছে প্রায় বিয়ের প্রস্তাব দিত। হাফিজুরে আগে বিয়ে ও সন্তান থাকায় এবং মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় তিনি বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। ২০২২ সালের ১৩ জুলাই রোকেয়া ওই ছাত্রীর বাড়ি এসে জোর করে হাফিজুরের বাড়িতে দাওয়া খেতে নিয়ে যায়। এ দিন ওই ছাত্রী ও তার মা এবং নানা ও নানী দুপুরে দাওয়া খেতে যায়। এ সময় হাফিজুর তাকে বিয়ে করতে চাইলে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে চলে আসতে চাইলে বাধা দেয়। হাফিজুর আগে থেকে আল হেলাল স্কুলের মৌলভী শিক্ষককে তাদের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে এনেছিল। একপর্যায়ে হাফিজুর ও মৌলভী রুহুল আমিন স্কুলের কাজের কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে ওই ছাত্রীকে। এ সময় ওই ছাত্রী কাগজে স্বাক্ষর করলে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেয়। ওই ছাত্রীর মা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েকে নিয়ে চলে আসতে চান। হাফিজুর তখন খুন জখমের হুমকি দিয়ে মেয়েকে রেখে বাজিদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর হাফিজুর হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ওই ছাত্রীকে ১৭ জুলাই হাফিজুর তাকে তার মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সুস্থ্য হলে হাফিজুর তাকে নিতে তার মায়ের বাড়ি আসে মেয়েকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে ওই ছাত্রীর বিয়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা ২ আগস্ট অভয়নগর থানায় প্রতারণার করে বিয়ে ও ধর্ষণ এবং সহযোগীতার অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ধর্ষণের অভিযোগে হাফিজুর রহমানকে ও সহযোগীতা করায় বাকিদের অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।