যশোরে কবুতর খাওয়ায় প্রতিবাদ করায় মারপিট,মামলা ও গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি
পোষা বিড়াল কর্তৃক পোষা কবুতর খাওয়ায় বিড়াল ধরে রাখায় হেলাল শেখ নামে এক যুবক পিস্তল হাতে নিয়ে মোবাচ্ছের মোল্লা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারপিট করার সময় স্থানীয় লোকজন যুবককে খেলনা পিস্তলসহ ধরে পুলিশে দিয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্য পিস্তল তাক করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারপিটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শনিবার ১৫ জুলাই যুবক হেলাল শেখকে আদালতে সোপর্দ করেছে।
শনিবার ১৫ জুলাই সকালে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলবাধাল ( মোল্লাপাড়া) গ্রামের মোহাম্মদ আলী মোল্লার ছেলে মোবাচ্ছের  মোল্লা বাদি হয়ে প্রতিবেশী যুবক মৃত মতিউর রহমানের ছেলে হেলাল শেখ এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,বাদি ও আসামী হেলাল পাশাপাশি বসবাস করেন। বাদি বাড়িতে সখের বসত কবুতর পোষে। কবুতর একটি খাঁচা আছে। হেলাল শেখ এর একটি পোষা বিড়াল বাদির বাড়িতে পোষা কবুতর খাওয়ার জন্য প্রায় চেষ্টা করে। হেলাল শেখ এর পোষা বিড়াল হওয়ায় বাদি আসামীকে বারবার বলে যে,তোমার পোষা বিড়াল তুমি সামলিয়ে রাখো। বাদির পোষা কবুতরের ক্ষতি হবে। এই বিষয় নিয়ে আসামী কোন কর্ণপাত না করে বিড়ালটি না সামলিয়ে পুষতে থাকে। শুক্রবার ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টায় বাদির বাড়িতে একটি কালো সাদা রংয়ের বিড়াল এসে কবুতরের ঘরের কাছে যেয়ে একটি কবুতর ধরে খেয়ে ফেলে। বাদি কৌশলে বিড়ালটি ধরে রাখে।তাৎক্ষনিক বাদি চিল্লাচিল্লি করতে থাকলে আসামী বাদির বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে তার ডান হাতে থাকা একটি পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতির মাধ্যমে বাদিকে খুন করার উদ্দেশ্যে বাদির উপর তাক করে। বাদি ভয়ে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে ধরার চেষ্টা করলে আসামী বাদিকে কিলঘুষি মরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। স্থানীয় লোকজন এসে আসামীকে ধরে ফেলে। বাদি তাৎক্ষনিকভাবে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে কবর দিলে বসুন্দিয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিস্তল এবং আসামীকে হেফাজতে নেয়। পুলিশ অফিসার পিস্তল দেখে তিনি বলেন এটি খেলনা পিস্তল। যেহেতু আসামী বাদিকে ভয়ভীতিসহ হত্যার হুমকী দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সাদৃশ পিস্তল দিয়ে হত্যার চেষ্টাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে,সেহেতু উপস্থিত লোকজনের সামনে পিস্তল জব্দ করেন।