যশোর শোরুমের ক্রেতার কার্ডের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আটক শাওনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

যশোর প্রতিনিধি 
সেইলর যশোর শো-রুমের ক্রেতার কার্ডের টাকা আত্মসাতের মামলায় আটক আবু সাঈদ শাওনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল এ আদেশ দিয়েছেন। আসামি আবু সাঈদ শাওন নারয়নগঞ্জ সদরের পশ্চিম দেওতারা বাংলা বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর দড়াটানাস্থ ইউনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ও যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কারবালার রওশন জাহান সুমি শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত সেলইলর শোরুমের ক্রেতা। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন মুজিব সড়কের সেইলর শোরুম থেকে পোষাক ক্রয় করে ইবিএল কার্ডের মাধ্যমে দাম পরিশোধ করেন। ৩১ ডিসেম্বর এদিন রাত ৮টা থেকে ৮টা ১০ মিনিটের মধ্যে তার হিসাব নম্বর থেকে ৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা সেন্ট হয়ে যায়। যা সেইলরকে লিংক হিসেবে বিকাশকে গ্টেওয়ে হিসাবে ব্যহবার করা হয়। এরপর ডাক্তার শাফায়েত হোসেন ইর্স্ট্রাণ ব্যাংকে যেয়ে বিষটি কতৃপক্ষকে অবহিত করে স্টেটমেন্ট উঠিয়ে টাকা ট্রান্সফারের বিষয়টি নিশ্চিত হন। তাৎক্ষনিক বিকাশের আইন বিভাগে অভিযোগ দিলে কতৃপক্ষ টাকা ট্রান্সফার হওয়া ৭টি হিসাব ফ্রিজ করে দেন। আসািমরা একই ভাবে যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহরের কারবালার রওশন জাহান সুমিসহ ১৮ জন সেলইল শোরুমের ক্রেতার ব্যাংক হিসাব নম্বর থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইলর শোরুমে অভিযোগ দিলে তার বিষয়টি আমলে নেননি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি ১৬ মার্চ আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে অভিযোগটি কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়।
মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তা সিআইডির এসআই রফিকুল ইসলাম অভিযোগের ভিত্তিতে শাওনকে আটক ও ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত ১৫ জুন আদালতে সোপর্দ করেন। গতকাল আসামির রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।