জীনের বাদশা পরিচয় দানকারী প্রতারক চক্র প্রলোভন দিয়ে ১২লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

যশোর প্রতিনিধি জীনের বাদশার মাধ্যমে পাওনা টাকা আদায় করতে যেয়ে কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ১২ লাখ টাকা খুইয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে। যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের মৃত আদিল মোল্যার ছেলে বৃদ্ধ আবুল হোসেন (৬৫) অজ্ঞাতনামা জ¦ীনের বাদশার বিরুদ্ধে বুধবার ১৪ জুন বিকালে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
আবুল হোসেন মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি একজন কাঠ ব্যবসায়ী। ব্যবসার লেনদেনের কারণে বিভিন্ন এলাকার লোকের সাথে টাকা লেনদেন করেন। লেনদেনের এক পর্যায় বিভিন্ন লোকের নিকট অনুমান ৪ লাখ টাকা বাকী পড়ে যায়। পাওনাদারদের কাছে টাকা চাইলেও তারা বাদির টাকা আজ না কাল দেবো করে কালক্ষেপন করতে থাকে। ইতিমধ্যে বৃদ্ধ আবুল হোসেন টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখতে পায় যে, জ¦ীনের মাধ্যমে পাওনা টাকা ফেরত পাওয়া যায়। টিভির স্ক্রীনে একটি মোবাইল নাম্বার ০১৭৮৯৬৭৬৫৬৭ দেখতে পান। কাঠ ব্যবসায়ী ওই নম্বরে কল করে কথা বললে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি কলধরে আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করে তার সমস্যা কি? বাদি তার সমস্যা পাওনা টাকা আদায়ের কথা তাদেরকে জানালে তারা বাদিকে জ¦ীনের মাধ্যমে পাওনা টাকা আদায় করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই সাথে আবুল হোসেনকে আরো  ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। তারা বাদিকে জানায় বাদির বাড়ির রাস্তার পাশে ২১টি পিতলের কলসে ওই টাকা লুকানো আছে। জ¦ীনের মাধ্যমে ওই টাকা বাদিকে পাইয়ে দিবে। পরবর্তীতে ওই মোবাইল নাম্বার ও নতুন ০১৯৭৭৫৩৬০২০ মোবাইল নাম্বার থেকে বাদির কাছে কল করে বাদির কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় জানতে থাকে। জ¦ীনের বাদশা পরিচয় দানকারী ব্যক্তিগন বাদিকে জানায় এ বিষয়ে কাউকে জানালে বাদির বিদেশে থাকা সন্তান মারা যাবে। টাকাও বাদিকে দিবে না। বাদি জ¦ীনের বাদশার কথা মতো কাউকে কিছু না জানিয়ে কাজ করতে থাকে। বেশ কয়েক দিন কথা বার্তা বলার পর জ¦ীনের বাদশা বাদিকে জানায় পাওনা টাকা আদায় করতে হলে ও ১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা পেতে হলে তাদের ব্যবহৃত বিকাশ নাম্বার ০১৭৮৯৬৭৬৫৬৭ ও ০১৯৩৩৭৭৩৫৫২ তে ১২লাখ টাকা পাঠাতে হবে। আবুল হোসেন তাদের কথায় সরল বিশ^াসে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ও কোটি টাকা পাওয়ার আশায় বিভিন্ন সময় স্থানীয় খাজুরা বাজারে মিজানুর রহমানের বিকাশের দোকান থেকে, লেবুতলা বাজারের সেলিম ও আসলামের বিকাশের দোকানসহ আরো অনেকের দোকান থেকে প্রায় ১২লাখ টাকা জ¦ীনের বাদশার কথা মতো দুইটি বিকাশ নাম্বারে পাঠায়। পরবর্তীতে বাদির পাওনা টাকা আদায়ের জন্য অজ্ঞাতনামা জ¦ীনের বাদশা পরিচয়দানকারী ব্যক্তিকে ওই মোবাইল নাম্বর গুলোতে কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তখন বাদি ধারনা করে আসামীগণ বাদির সাথে প্রতারণামূলক বিশ^াসভঙ্গ করে তার নিকট থেকে ৩০ জানুয়ারী থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় যশোর সদরের লেবুতলা বাজারস্থ সেলিমের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান  থেকে প্রায় ১২লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। কাঠ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন পরবর্তীতে তার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় হাজির হয়ে মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহফুজুল হক জ¦ীনের বাদশা সন্ধ্যানে কাজ করছে।