যশোরে বিয়ের প্রলোভনে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর অফিস যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক নাইমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল ভুক্তভোগী ছাত্রী এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) আদেশ দিয়েছেন।
আসামি নাইম ওরফে অনিক সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শহীদ মোড়ের আলমের ছেলে।বাদী মামলায় জানিয়েছেন, বাদীর দেয়াড়া-ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। আসামি পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালিয়া ভেকুটিয়ার বাসিন্দা। নাইম এবং বাদী সদর উপজেলার আলমনগর দাখিল মাদরাসায় একই সাথে লেখাপড়া করেন। সে কারণে তাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আসামি বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিয়ে ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করতে রাজি হননি বাদী। ফলে গত ১৮ জানুয়ারি আসামি নাইম বাদীকে ফোন করে তার বাড়ি আসতে বলে। কিন্তু বাড়িতে অন্য লোকজন আছে বলে মেয়েটি যেতে রাজি হয়নি। এসময় নাইম বলেছে আজ বাড়িতে কেউ নেই তুমি চলে আসো আজ তোমার ও আমার বিয়ে হবে। সেখানে যাওয়ার পরে বাড়িতে কাউকে না দেখে বাদী ফিরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু আসামি নাইম বলছে এখনই কাজী আসছে। এরপরই মধ্যে পা-জামা-পাঞ্জাবী পরা দুইজন লোক এসে কয়েকটি কাগজে সাক্ষর করিয়ে চলে যায়। এরপরে নাইম মেয়েটিকে বলছে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। এখন থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক করতে আমাদের কোন বাধা নেই। ওইদিনই নাইমের বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে বিভিন্ন হোটেল, পার্ক ও বন্ধুদের বাড়িতে নিয়ে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। যার স্থির চিত্র বাদীর কাছে রয়েছে। এরপরে বাদীকে আসামি নাইমের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলা হলে আজনা কাল বলে ঘুরাতে থাকে। সর্বশেষ গত ৯ জুন বেলা ১১টার দিকে নাইমকে ডেকে বাদীর পিতার বাড়িতে নিয়ে যায়। এসময় নাইমের সাথে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলা হয়ে নাইম বিয়ের কথাই অস্বীকার করে। এছাড়া নাইম বিয়ের কথা বলেছে ওটা ভুয়া। তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়নি। ফলে বিয়ের নামে প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। #