সৌদি প্রবাসিকে মারপিট ও সাজানো মাদক মামলা দিয়ে বিদেশে যেতে বাধার সৃষ্টি ও হুমকি 

যশোর অফিস : যশোরে আব্দুল মজিদ (৪০) নামে এক সৌদি প্রবাসিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারপিট ও সাজানো মাদক মামলা দিয়ে বিদেশে যেতে বাধার সৃষ্টি করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এই ঘটনায় ১৫ দিন আগে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দেন ওই প্রবাসি। এতে আরো বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে প্রতিদিন রাতে ৮/১০টি মোটরসাইকেলে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আব্দুল মজিদের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। কিন্তু পুলিশি নিরব ভুমিকায় স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবার নিয়ে ওই প্রবাসি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল মজিদ সদর উপজেলার জঙ্গলবাঁধাল গ্রামের মৃত মকসেদ আলী মোল্যার ছেলে।
তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় দেয়া অভিযোগে জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে চাকরি করে আসছেন। জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশি আল মামুন ও আজাহার আলীসহ কয়েকজনের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন আগে আব্দুল মজিদ সৌদি আরব থেকে বাড়িতে এসেছেন। সম্প্রতি বিবাদীরা তার জমিজমা জবরদখল করে বাড়ি ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিন্তু আব্দুল মজিদের কষ্টার্জিত টাকার সম্পদ জবরদখলে বিবাদীদের বাধা দেন। এতে তারা ক্ষীপ্ত হয়ে গত ৫ মে বিকেলে আব্দুল মজিদের বাড়িতে এসে খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। এসময় বাধা দিলে তাকে মারপিক করে ঘরে থাকা ২০ হাজা ছিনিয়ে নেয় আল মামুন ও আজাহার আলী ও তাদের সহযোগিরা। এছাড়া আব্দুল মজিদকে তারা সাজানো মাদক মামলা দিয়ে আবারো সৌদি আরবে যেতে বাধার সৃষ্টি করবে বলে হুমকি দেয়। এই ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমাংসার কথা বলে স্থানীয় একটি চক্র কালক্ষেপণ করতে থাকে। কিন্তু কোন মিমাংসা না হওয়ায় গত ২৭ মে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান। ক্যাম্পে বসে উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেন ওই দারোগা। কিন্তু সালিশের মধ্যে ওই গ্রামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে ঘোলাটে ভাব করে ঠেলে। ফলে ভেস্তে যায় মিমাংসা।
কিন্তু ঘটনার ১৫দিন পার হলেও ক্যাম্পের আইসি এখনও বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে বিবাদীরা। প্রতিনিয়ত রাত হলেও ৮/১০টি মোটরসাইকেলে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুল মজিদের বাড়িতে যায়। কেন থানায় অভিযোগ দেয়া হয়ে এবং প্রত্যাহার কেন করা হচ্ছেনা এই কথা বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আব্দুল মজিদ।
এই ব্যাপারে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, মিসাংসার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু হয়নি। #