যশোরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ পৌরবাসি

যশোর অফিস
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে যশোর পৌরবাসী। অনেকটা ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের। কিন্তু কিছুতেই ঘুম ভাঙছেনা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। যা নিয়ে হতবাক পৌরবাসী। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে খুব শিঘ্রই তারা মশক নিধন কর্মসূচী শুরু করবে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, ময়লা আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেন পরিষ্কার না করা এবং দীর্ঘদিন ধরে মশক নিধন কার্যক্রম না করায় ডেঙ্গুসহ নানা রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে যশোর পৌরসভা।
পৌরবাসী  বলেন, দিনে-রাতে সবসময়ই মশারী নয়তো মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। শুধু মশারি টানিয়ে নয়, কয়েল ধরিয়েও মশা অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা। একদিকে গরম অন্যদিকে মশার অত্যাচারে টিকে থাকা দায়।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ড্রেনে পানি এবং ময়লা জমে রয়েছে। ফলে সেখান থেকে মশার বংশ বিস্তার ঘটে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিনের পাশে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এখান থেকেও ছড়াচ্ছে মশার বংশ বিস্তার। তাদের অভিযোগ, পৌরসভার মশা নিধন কার্যক্রম বন্ধের কারণে মশার জীবাণুবাহী রোগের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আফরোজা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা নামার পর থেকেই ঘরে মশার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও মশা কমছে না।
পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশিকুর রহমান শিমুল বলেন, শুধু রাতে না, দিনেও  মশা কামড়াচ্ছে। ফলে অনেক সময় দিনেও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু জানান, মশা ও মশার লাভা ধংস করার উন্নত মানের ওষুধ ইনপোর্ট দেরিতে হওয়ার কারনে মশক নিধন কার্যক্রম এবার কিছুটা দেরিতে শুরু হচ্ছে। তবে আগামী রবিবার থেকে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক ভাবে একসাথে শুরু হবে যা একসপ্তাহ চলবে।#