যশোর প্রতিনিধি
নিজের অপকর্ম ঢাকতে রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী নিজের স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন মহলে দেনদরবার শুরু করেছেন। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে নিজের বউকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর। এদিকে, তার সহযোগী জামায়াত নেতার ছেলে নকল নবিশ নূর নবীও দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এদিকে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের চেতনায় বিশ^াসীরা রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী ও নকল নবিশ যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়ন জামায়াত নেতার ছেলে নূর নবীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে স্বোচ্ছার হচ্ছেন। জামায়ত ইসলামী ও তাদের দোসরা যেভাবে দেশটাকে অশান্তি করতে চাচ্ছে তা হতে দেবে না তারা। তাদেরকে যারা সেল্টার দিচ্ছে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ভৈরব চক্রবর্তী নিজের বউকে যেভাবে মাঠে নামিয়েছেন, ঠিক সেই ভাবে নূর নবী নিজে তার আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে তদ্বির শুরু করেছেন। নকল নবিশ নেতারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে তদ্বির চালাচ্ছেন। যাতে করে গণমাধ্যমে আর কোন সংবাদ প্রকাশ না হয়। সেই সাথে বিষয়টি যাতে সবাই নিশ্চুপ থাকে।
সূত্র জানায়, রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তী ও নকল নবিশ যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়ন জামায়াত নেতার ছেলে নূর নবী যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে কোন কিছু না হওয়ার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা।
অফিসের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, রেজস্ট্রি অফিসের পাহারাদার থেকে শীর্ষ কর্তারা অনিয়ম-দুনীতির সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। সকলেই যেহেতু ঘুষ-দুর্নীতির সাথে জড়িত যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউই ব্যবস্থা নিতে চায় না। জেগে জেগে ঘুমের ভাব নেওয়া কর্তারাও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, জামায়াত নেতার ছেলে নূর নবী যশোর সদর উপজেলা নকল নবিশ কমিটির সভাপতি কিভাবে হয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। জেলায় এই কমিটির কতজন জামায়াত-শিবির আছে তাদের সম্পর্কে খোজখবর নিতে শুরু করেছেন তারা।
সূত্র জানায়, ভৈরব চক্রবর্তী যশোর রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেই জামায়াত নেতার ছেলে নূর নবীর সাথে আঁতাত করে অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন। আর এনিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়। সংশ্লিষ্ট অফিসের উচ্চ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিশ্চুপ ছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেতে শুরু করে। আর এনিয়েই ক্ষেপে গেছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের চেতনায় বিশ^াসীরা। খুব দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে যশোরের রাজপথে আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।