যশোরে আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১৯ বছর আদালতে  মামলা চালানোর পর  নিজের পক্ষে রাই পেলেও   জমিতে  ভোগ দখলে যেতে পারছেন  না মোঃ কাশেম আলী মোল্লা।
জানাযায় যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের  বুুধপুর গ্রামের মোঃ কাশেম আলী মোল্লার পুত্র, মোঃ  দাউদ হোসেনের সাথে একই গ্রামের  জলিল মোল্যার কন্যা মনজুরা পারভিনের সাথে পারি বারিক ভাবে  ৯৯৯৯ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়।
বিয়ের কিছু দিন  পর  মঞ্জুরা পারভিন   শশুর কাশেম মোল্যাকে কে চাপ দিতে থাকে তার নামে জমি লিখে দেওয়ার জন্য।
একপর্যায়ে মঞ্জুরা পারভিন সূকৌশালে   কতিপয় সমাজ পতিদের সহযোগীতায় গত  ১২/০৮/০২  তারিখে   ৩৭ শতক জমি দলিল করে নেয়।যার দলিল নং৩৮৮৩/০২।
এলাকাবাসীর জানায়,
 কাশেম আলী মোল্যার পুত্র দাউদ  হোসেন   বিদেশ যাওয়ার পর  মন্জুরা পারভিন আদালতের মাধ্যমে ( ৯৯৯৯)  কাবিনের টাকা নিয়ে স্বামি দাউদ হোসেন কে তালাক দেয়।
  দাউদ হোসেন কে তালাকের পর   মন্জুরা পারভিন বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী  দরাজহাট গ্রামের  ভোলা মোল্যার পুত্র মোঃ মাসুম কে।
এই ঘটনায় কাসেম আলী মোল্লা বাঘারপাড়া সাব রেজিস্ট্রেশন কার্যালয়ে একটি  (রদ, রহিত) দলিল বাতিলের  মামলা করেন,
মামলার নালিশের জমির মধ্যে  বুধপুর মৌজার ২২৪ দাগের ২৫ শতক,১৭৫ দাগের ৬ শতক,১৭৬ দাগের ২ শতক,১৭৮ দাগের ২ শতক,১৮৪ দাগের ২ শতক  মোএ ৩৭ শতক।
 দীর্ঘ ১৯ বছরআদালতে  মামলা চালানোর পর,
 গত ৩১/০৮/০২২ বাঘারপাড়া সহকারি  জজ আদালত   মন্জুরা  পারভীনের দলিলটি বাতিলের আদেশ প্রদান করেন। যার স্বারক নাং ১৬২। বাঘারপাড়া সহকারী  জজ আদালত,
যশোর জেলা সাব রেজিস্টার আদালতে মন্জুরা পারভিনে দলিল টি বাতিলের আদেশ প্রদান করেন। যার স্বরক নাং ৮১০/২৬/১০/২২।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি
জানান, মঞ্জিলা পারভীনের বর্তমান স্বামী এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি।
, মাসুম তার লোকজন নিয়ে উক্ত জমিগুলো জবর দখল করে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সবার করে দেয়। এছাড়া ও মাসুম বিভিন্ন দাদাল মারফতের  উক্ত ৩৭ শতক জমি বিক্রয় করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাসুমের ভয়ে কাশেম মোল্যার  পরিবার উক্ত জমি তে  ভোগ দখলে যেতে পারছেন না।  মাসুম  দরাজহাট  ইউনিয়নের ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের আপন চাচাতো ভাই। আদালতের রায় অমান্য করে মন্জুরা পারভিন  উক্ত জমি জবর দখলে রাখায়  ঐ এলেকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি
কাশেম মোল্যার পৈতৃক সম্পত্তি পুনরায় ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।