যশোর প্রতিনিধি
আজ ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইএসসি) পরীক্ষা)। গত বছরের তুলনায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী কমেছে ২৭ হাজার ৪৫৪ জন। গত বছর পাসের হার বেশি থাকায় এ বছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। যার কারণে পরীক্ষার্থী কমেছে বলে জানান যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।
তিনি বলেন, গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে যশোর বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৮ হাজার ১৬৭ জন পরীক্ষার্থী। এ বছর অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৭০৯ জন পরীক্ষার্থী।
১ লাখ ৭০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে খুলনা জেলা থেকে অংশ নেবে ১৯ হাজার ৯৭৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ১০ হাজার ৫৯২ জন, মেয়ে ৯ হাজার ৩৮১ জন। বাগেরহাট জেলা থেকে অংশ নেবে ৭ হাজার ৪৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ৩১৬ জন ও মেয়ে ৩ হাজর ৭৩২ জন। সাতক্ষীরা জেলা থেকে অংশ নেবে ১১ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৬ হাজার ৪৮৮ জন, মেয়ে ৬ হাজার ৪২৭ জন। কুষ্টিয়া জেলা থেকে অংশ নেবে ১১ হাজার ৪৬৫ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৫ হাজার ৩১৪ জন, মেয়ে ৬ হাজার ১৫১ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে অংশ নেবে ৫ হাজার ৮৯৫ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৮৯১ জন, আর মেয়ে ৩ হাজার জন। মেহেরপুর জেলা থেকে অংশ নেবে ৩ হাজার ৪৩০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৬৫৩ জন, মেয়ে ১ হাজার ৭৭৭ জন। যশোর জেলা থেকে অংশ নেবে ১৮ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ৯ হাজার ৭৪৮ জন, মেয়ে ৮ হাজার ৮২৪ জন। নড়াইল জেলা থেকে অংশ নেবে ৪ হাজার ৮০৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৩২৩ জন, মেয়ে ২ হাজার ৪৮৫ জন। ঝিনাইদহ জেলা থেকে অংশ নেবে ১২ হাজার ৯৪ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে ছেলে ৬ হাজার ৩৭৩ জন, মেয়ে ৫ হাজার ৭২১ জন। মাগুরা জেলা থেকে অংশ নেবে ৫ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৭১০ জন, মেয়ে ২ হাজার ২৯৯ জন
ইতিমধ্যে বোর্ড থেকে অনলাইনে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধন কার্ড পেয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র ও নিবন্ধন কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র্র বলেন, ২০২২ সালে তিনটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হয়। তাতে বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করে। পাসের হার ছিলো ৯৮ শতাংশ। যার জন্য এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে। কারণ, গত বছর পাসের হার কম থাকলে এবার অনিয়মিত পরীক্ষার্থী বেশি থাকতো । এছাড়া করোনার কারণে অনেকে হয়তো অনত্র স্থানান্তর হয়ে থাকতে পারে, কিংবা লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো কর্মে নিয়োজিত হয়েছেন। এসব বিভিন্ন কারণে পরীক্ষার্থী কমতে পারে।