আ: লীগ নেতা টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া হত্যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সহ দুজন গ্রেপ্তার

ঢাকা অফিস: রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শটগান সোহেল ও মারুফ রেজা সাগর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, এদের মধ্যে টিপু হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছিলেন সোহেল এবং হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী ছিলেন সাগর।

রবিবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক সূত্র ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে শটগান সোহেল ও মারুফ রেজা সাগরকে আজ রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কথিত আছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহম্মেদ ওরফে মানিকের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সোহেল শাহরিয়ার।
জানা গেছে, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহেল শাহরিয়ার মতিঝিল থানা ছাত্রলীগেরও সভাপতি ছিলেন। ২০০২ সালে ছাত্রলীগ নেতা মিজানকে গুলি করে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ক্যাম্পাস ছাড়া করে সোহেল শাহরিয়ার বনে যান কলেজের শীর্ষ নেতা।
২০০৮ সালের ৪ মার্চ রাজধানীর শাহজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতি-মহসিন কমিটির সদস্য ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. কাউছার আলীকে দিনেদুপুরে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে নিহতের চাচা মো. আমির আলী মতিঝিল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২০১৬ সালে আদালতে যে চার্জশিট দাখিল করে, তাতে সোহেল শাহরিয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় গত ২৪ মার্চ রাতে অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু। তার মাইক্রোবাসের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছোড়ে হেলমেটধারী আততায়ী। ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, টিপু হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী কানাডায় পলাতক দেশের ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম জাফর আহমেদ মানিক ও দুবাইয়ে পলাতক আছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান। তাদের সঙ্গেই সমন্বয় করে এই হত্যার ঘটনা ঘটায় দেশে থাকা বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় এরই মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। শনিবার ভোরেও এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

এছাড়া গত ৯জুন আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।