পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ডেপুটি স্পিকার

গাইবান্ধা প্রতিনিধ:
দুই ছেলের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের ৭ বারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া।
সোমবার (২৫ জুলাই) ঢাকা থেকে বিমান বাহিনীর ৪১১ নম্বর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জন্মস্থান গাইবান্ধার সাঘাটার বোনাড়পাড়ায় পৌঁছায়।
এরপর সেখান থেকে সড়ক পথে তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের নেওয়া হয় ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সাংসদ সদস্যরাসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ওই মাঠেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে রাব্বিকে গার্ড অব অর্নার দেওয়া হয়। এই গার্ড অব অর্নার পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
বিকেল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল সাড়ে ৫টায় তৃতীয় জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়
সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছে। তার প্রথম জানাজা সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমেরিকার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফজলে রাব্বি মিয়া। বার্ধক্যজনিতসহ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ৯ মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর
১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বি মিয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের পর পর দুইবারের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন