যশোর প্রতিনিধি
নতুন করে এমপিওভুক্ত হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ১২২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে যশোর জেলার রয়েছে ৩১টি প্রতিষ্ঠান। এ তালিকায় যশোর জেলার মধ্যে এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি (৮ প্রতিষ্ঠান) চৌগাছা উপজেলার। আর সবচেয়ে কম (০১ প্রতিষ্ঠান) নির্বাচিত হয়েছে অভয়নগর উপজেলার।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়াদি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন বিধি-বিধান ও সংশ্লিষ্ট পরিপত্র মোতাবেক প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন। পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অবশ্যই নিবন্ধন সনদ প্রযোজ্য হবে।
এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হওয়া প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে, সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। পরবর্তীতে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করলে স্থগিত এমপিও অবমুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
যেসব তথ্যের ভিত্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, তার কোনোটি ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে এমপিও বাতিলসহ তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এ আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, যোগ্যতা সাপেক্ষেও কোনো প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গেছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয় আপিল নিষ্পত্তি করবে।#