যশোর প্রতিনিধি
ভারতের বিজেপি থেকে বহিস্কৃত নুপুর শর্মার পক্ষ নিয়ে ফেসবুক পেইজে হিন্দুকুশ অ্যান্ড লাভ সোসাইটি (রাধিকা) নামক একটি জয়েন্ট পেইজ থেকে পোস্ট করা একটি বক্তব্য শেয়ার করার অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছে অনুপ লাহা (২৪) নামে এক যুবক।
সোমবার বিকেলে যশোর হেড পোস্ট অফিসের পাশের একটি মসজিদের সামনে অনুপ গণপিটুনির শিকার হয়। পরে তাকে এক কাউন্সিলের মাধ্যমে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। অনুপ লাহা শহরের সিটি কলেজ পাড়ার ভোলা লাহার ছেলে। সে শহরের চুড়িপট্টি এলাকার একটি জুয়েলারী দোকানের কর্মচারি। যশোরে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজ্বি আলমগীর কবির সুমন জানিয়েছেন, অনুপ নামে এক যুবক ওই মসজিদের সামনে গণপিটুনির শিকার হচ্ছিলেন। তার পিতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল খালেক তা দেখে সেখানে যান এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে তার অফিসে পাঠান। পরে কোতয়ালি থানা পুলিশকে জানালে এসআই কাজী আবু জুবাইর তার অফিসে গিয়ে অনুপকে হেফাজতে নেন। সে সময় অনুপের পিতা ভোলা লাহাও ছিলেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, বিজিপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য যুক্তিসংগত এই মন্তব্য করা হয় একটি ফেসবুক আইডি থেকে। যা শেয়ার করেন অনুপ। বিষয়টি অনেকে জানতে পেরে অনুপকে তার পরিচিতরা কল করে ওই মসজিদের সামনে নিয়ে আসে। পরে তার মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুক আইডিতে গিয়ে শেয়ার করার সত্যতা মেলে। সে সময় উপস্থিত লোকজন তাক গণপিটুনি দেয়।
হিন্দুকুশ অ্যান্ড লাভ সোসাইটি (রাধিকা) নামক ওই ফেসবকি পেইজে লেখা আছে-‘নূপুর শর্মা লিখেছেন, নবী ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেন ৫০ বছর বয়সে এবং যখন আয়েশার বয়স ৯ বছর তখন তিনি আয়েশার সাথে বাসর করেন। যে কথা বুখারী শরীফের হাদিসে স্পষ্ট করে লেখা আছে। যেটা জাকির নায়েকও প্রকাশ্যে বলেছে। তাহলে এই কথা বলা কী ভাবে নবীর নামে কুটুক্তি হয়, যেটা নিয়ে মুসলমানরা আকাশ বাতাশ এক করে ফেলছে? মুসলমানদের বলছি-আপনার যদি সত্যকে অস্বীকার করতে লজ্জা পান বা না চান, তাহলে হাদিসকে অস্বীকার করুন, আছে সেই ক্ষমতা ? রাষ্ট্রবাদি বন্ধুদের বলছি যা হয়েছে ভাল হয়েছে,,‘উই স্ট্রংলি স্যান্ড উইথ নূপুর শর্মা’ নূপুর জি যা বলেছেন ওদের কিতাব তথ্য অনুযায়ী বলেছেন, যদি কোর্ট পর্যন্ত টানা হয় তাহলে আরো ভাল হবে, নূপুর জি সমস্ত তথ্য জনসমেক্ষে প্রকাশ করবেন। বরং সমস্যায় পড়বেন নবী মোহাম্মদের অনুসারীরা। এবার পুরো দুনিয়াতে ইসলাম, ওদের আসমানী কতাব নিয়ে কাটা ছোঁড়া হবে। আরো খিল্লি হবে। এখন ওরাই নিজেদের দ্বিধা বিভক্ত।। আমাদের নূপুর জি তো আজ ওদের দৌলতে ইন্টারন্যাশনাল ব্যক্তিত্ব। সাতান্ন দেশকে হিলানে ওয়ালী শেরনী। এ বিষয়ে অনুপ লাহা জানিয়েছে, ‘তিনি ফেসবুকে এই পোষ্টটি দেখেছেন। কিন্তু কীভাবে তার আইডিতে শেয়ার হয়েছে তা তিনি জানেন না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই কাজী আবু জুবাইর জানিয়েছেন, পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিদেশে অনুপকে সাথে নিয়ে থানায় নেয়া হয়েছে। তার বিষয়ে কী হবে সেটা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানাবেন।