যশোর প্রতিনিধি
যশোরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আশিকুর রহমান অপু (২৭) নামে এক সন্ত্রাসী খুন হয়েছে।
সোমবার সকালে যশোর শহরের খালধা রোড আমিনিয়া মাদরাসা মোড়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন ।
এসম স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা পাঠান। ঢাকা নেয়ার পথে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বজনরা তাকে ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অপু শহরের খালদার রোড এলাকার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আশিকুর রহমান অপু সন্ত্রাসী পুট সানির ক্যাডার ছিলো। সে একটি হত্যা মামলার আসামি। তার প্রতিপক্ষ রিয়াদ এলাকায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি যশোর বড় বাজারে টোল আদায় করতো। টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জেরে আজ সকালে রিয়াদ (২৫), ইয়াদ (২৬) কুটি ও আশরাফ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটান।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৭ জুন ইংরেজি তারিখে যশোর বড় বাজারে পাপ্পু নামে এক সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে হত্যা করে অপু। সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই অপুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডের চিকিৎসক তানভীর আহম্মেদ বলেন, অপুকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ধারালো অস্ত্রের অসংখ্যা আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।
ঢাকায় নেয়ার পথে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদপুরের একটা প্রাইভেট হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘটনা ঘটার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ আরো জানায় অপুর বিরুদ্ধে হত্যা মাদক চাঁদাবাজিসহ সাতটি মামলা রয়েছে।