আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রিসভার একটি বিশেষ কমিটির বৈঠকে ইমরানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। বৈঠকে ইমরানের লংমার্চকে ‘ফিতনা (বিদ্রোহ)’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হাকিকি আজাদি (প্রকৃত স্বাধীনতা) মার্চের চেয়ে বরং এটা ছিল দাঙ্গা মার্চ। বিদ্রোহের পাশাপাশি এটা ছিল রাষ্ট্রের ওপর সশস্ত্র হামলা। ২৫ মে রাজধানীকে জিম্মি করার আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যে ‘আড়াই হাজার দুর্বৃত্তকে’ ২৫ মের আগে ইসলামাবাদে আনা হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল ইমরান পৌঁছানের পূর্বে ডি-চক দখল করা।
তিনি আরও বলেন, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী পুলিশ, রেঞ্জারস ও এফসি জওয়ানদের ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা গাছ ও মেট্রো স্টেশনেও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ ছাড়া, ইমরানের ইসলামাবাদমুখী ‘আজাদি মার্চ’ কর্মসূচি চলাকালে রাষ্ট্রের ওপর ‘হামলার’ কথিত পরিকল্পনার অভিযোগে গিলগিট-বালটিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার চিফ মিনিস্টারদেরও (মুখ্যমন্ত্রী) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসামি করা হতে পারে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী মাওলানা আসাদ মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীরবিষয়ক উপদেষ্টা কামার জামান কাইরা, অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী সরদার আয়াজ সাদিক, আইন ও বিচারমন্ত্রী আজম নাজির তারার এবং ইসলামাবাদ পুলিশের কর্মকর্তারা।
পরে বৈঠক সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইমরানের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৬ জুন পর্যন্ত বৈঠক মুলতবি করেছে কমিটি। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করা হবে।
গত ২৫ মে চলতি বছর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদমুখী ‘আজাদি মার্চ’ করেন ইমরান। কিন্তু রাজধানীতে প্রবেশে বাধা পেয়ে কয়েক জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয় তার দলের সমর্থকদের। পরদিন সরকারকে নতুন নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে ৬ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে আকস্মিকভাবে ‘আজাদি মার্চ’ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি।