যশোর প্রতিনিধি
জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে একই পরিবারের ৫জন গুরুতর জখম হয়েছে। এ সময় স্বর্ণের চেইন কেড়ে নিয়ে শ্লীলতাহানী ঘটনার অভিযোগে শনিবার গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে রাসেল হোসেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে,ওই গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে মুক্তি,শফিয়ার রহমান,শফিয়ার রহমানের ছেলে রকিসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
বাদি মামলায় বলেছেন, আসামীরা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসামীরা বাদিসহ তার পরিবারকে মারপিট খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে আসামীরা হাতে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ধারালো দা, লোহার রড,বাঁশের লাঠি নিয়ে গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টায় অনধিকারভাবে প্রবেশ করে বাদির ছোট ভাই মুকুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। মুকুল গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুকুলকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। ঘটনা দেখে বাদির মাতা সায়রা বেগম (৫০) ঠেকাতে গেলে শফিয়ার রহমানের হুকুমে মুক্তি বাদির মাকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়। মুক্তি ও শফিয়ার রহমান তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে নাকে ও মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। শফিয়ার রহমান ছায়রা বেগমের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়। তখন বাদির মামাতে ভাই শাফিক হোসেন (২৬) ঠেকাতে এলে মুক্তি ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ মারলে সে বামহাত দিয়ে ঠেকালে ওই কোপ বাম হাতের কবজির উপর লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। আহতদের ডাক চিৎকারে বাদির মামাতো ভাই শাকিল হোসেন,মামা লুৎফর রহমান (৫৬), বাদির স্ত্রী শাকিলা খাতুন (২৬), বোন শিলা খাতুন (৩৮),ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাসলিমা (১৯)গন ঠেকাতে এলে তাদেরকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে জখম করে। আসামীরা বাদির স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরনের কাপড় চোপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।#