যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ এবং জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী সন্ত্রাসীদের লোহার রডের আঘাতে তিনজন জখম করেছে। এ সময় আক্রান্তকারীদের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ তাদের অজ্ঞাতনামা ৮/৯জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দিয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আক্তার মেছের আলীর ছেলে ইনার আলী, ওমর আলী ও ইনার আলীর স্ত্রী রিপা বেগম। সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া মোড়ল বাড়ির আজগার আলী মোড়লের ছেলে হায়দার আলী বাদি হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,জমিতে রোপিত ফলজ ও বনজ গাছ এবং জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আসামীরা ক্ষয়ক্ষতি মারপিট খুন জখমের জন্য সুযোগ খুঁজছে। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় গ্রামের তিন রাস্তার মাথায় বাদির দোকানে তিনি অবস্থান কালে দোকানের পূর্ব পাশের্^ তালে গাছি তাল গাছে উঠার সময় আসামীরা হাতে ধারালো গাছি দা, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র,শস্ত্রসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাদির জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। ইনার আলী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে গাছি শাহিনুর রহমান (৩৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে। ঘটনাকে দেখে শামসুর রহমান (৫৫) ও মাসুদুর (২৫)দ্বয় ঠেকাতে চেষ্টা করলে ইনার আলী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে শামসুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার উপরে আঘাত করে জখম করে। ওমর আলী মাসুদুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে জখম করে। এ সময় মাসুদুরের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে ইনার আলী ও ওমর আলী বাদির দোকানে হামলা চালিয়ে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসবাবপত্র গ্লাস ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধণ করে। এ সময় ইনার আলী দোকানের ক্যাশ বাক্স হতে নগদ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ইনার আলী বাদিকে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় বাদির স্ত্রী রেক্সনা (৩৮) ঠেকাতে চেষ্টা করলে ইনার আলী বাদির স্ত্রীকে মারপিট করে পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। রিপা বেগম রেক্সনার গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বাদি ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে খুনজখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। বাদিসহ আহতদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।