যশোর প্রতিনিধি
যৌতুকের টাকার জন্য এক পাষান্ড স্বামী তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূ তার খালুর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে কোন উপায়ূন্তর না পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় রোববার ২৭ মার্চ রাতে মামলা করলে পুলিশ যৌতুক লোভী স্বামী জিয়াজ মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলার নতুন খয়েরতলা হার্টিকালচারের পাশে মৃত সামছুল আলমের ছেলে।
ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর উপজেলার কোট চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া মান্নান স্বর্ণা (১৯) বাদি হয়ে স্বামী জিয়াজ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,গত বছরের ৪ আগষ্ট জিয়াজ মোহাম্মদের সাথে তার ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হতে স্বর্ণার স্বামী তার কাছে ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গৃহবধূ বিষয়টি তার বাবা মিজানুর রহমান ও মাতা নূর জাহানকে জানায়। তারা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাতা জিয়াজ মোহাম্মদকের এককালীন যৌতুক বাবদ ৩লাখ টাকা নগদ প্রদান করে। সে সময় সাংসারিক বিভিন্ন মালামাল আসবাবপত্র বাবদ ২লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরও জিয়াজ মোহাম্মদ গৃহবধূক স্বর্ণার কাছে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে মারপিট করতে থাকে। গত ২৫ মার্চ সকাল ৯ টায় গৃহবধূ স্বর্ণা তার স্বামীর বাড়িতে শয়ন কক্ষে অবস্থান কালে স্বামী জিয়াজ মোহাম্মদ ঘরে ঢুকে স্ত্রীর কাছে তাৎক্ষনিকভাবে গৃহবধূকে তার বাবার বাড়ি হতে তার দাবীকৃত ২লাখ টাকা এনে দিতে বলে। গৃহবধূ যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের মধ্যে থাকা লাঠি দিয়ে গৃহবধূর হাতে পায়ে বুকে সর্ব শরীরে এলোপাতাড়ী মারপিট করে যৌতুকের টাকা আনার জন্য তার বাড়ী হতে বের করে দেয়। গৃহবধূ তার খালু ফজলুর নূরপুর গ্রামের বাড়িতে যেয়ে উঠে। সেখান থেকে গৃহবধূ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মা বাবাকে জানালে তারা দ্রুত খালুর বাড়িতে আসে। গৃহবধূ তার মা বাবার সহায়তায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে। পরে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলা রেকর্ডের পর যৌতুক লোভী স্বামী জিয়াজকে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে সোপর্দ করে।