যশোর প্রতিনিধি
এক অষ্টোদশীকে তার স্বামীকে তালাক করতে বাধ্য করে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষনের অভিযোগে ভাই বোনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের(মোল্লাপাড়া) এলাকার ইউসুফ আলী মোল্লার ছেলে মাসুদ ও তার বোন মোছাঃ সিমা খাতুন। পুলিশ উত্যক্তসহ ধর্ষনের সহায়তা হিসেবে মামলার আসামী সিমা খাতুনকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দিবাগত গভীর রাতে অষ্টোদশী কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন,আসামীদের বাড়ি বাদির বাড়ির পাশাপাশি মাসুদ বাদির সাথে প্রায় সময় কথা বার্তা বলে। বাদিকে উত্যক্তসহ আজে বাজে কথা বার্তা বলতো। এক পর্যায় বাদিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বাদি প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বাদিকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দেয়। বাদি তার কথায় রাজী না হওয়ায় মাসুদ ক্ষতি করার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বাধ্য হয়ে অষ্টোদশীর পিতা বাদিকে ২০২১ সালে ইসলাম শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেয়। বিয়ের পর ঘর সংসার করার সময় মাসুদ তার বোন সিমার সহায়তায় বাদিকে বিভিন্ন সময় বিয়ে করার জন্য প্রলোভন দেখিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায় মাসুদ বাদিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বাদিকে তার স্বামীর বাড়ি হতে এনে কাজী অফিসে নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর স্বামীকে তালাক করিয়ে দিয়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে বাদিকে বিয়ে করবে বলে বাদিকে তার পিতা মাতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাদি পিতা মাতার বাড়িতে অবস্থান কালে আসামী বাদিকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে বিভিন্নস্থানে ও আসামীর বাড়িতে নিয়ে বাদির সাথে মেলামেশা করে।বাদি তাকে বিয়ের কথা বললে সে বিয়ে না করে বার বার সময় নেয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৭ টায় মাসুদ তার বোন সিমা খাতুনের সহায়তায় বাদিকে বিয়ে করার কথা বলে মাসুদ তার ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। বাদির সাথে শারীরিক মেলামেশা করতে চায়। তখন বাদি আসামীকে বলে বিয়ে না করে শারীরিক মেলামেশা করতে অসম্মতি জানায়। তখন মাসুদ বাদির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বাদি মাসুদকে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। পরের দিন সকালে মাসুদ ও তার বোন সিমা খাতুন তাদের বাড়ি হতে বাদিকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনার বিষয় বাদি বাড়িতে এসে তার মাকে বিস্তারিত জানায়। বিষয়টি নিয়ে আসামীদের সাথে একাধিকবার আপোষ-মীমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করে থানায় মামলা করতে দেরি হয় বলে বাদি মামলায় উল্লেখ করেন। পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামী সিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার ১ মার্চ আদালতে সোপর্দ করেছে