যশোর প্রতিনিধি
চরমোনায় যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত অন্তত ২০ জন যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার ২৪ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে চরমোনাই যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন, নুরপুর গ্রামের কুদ্দুস ঢালীর ছেলে আব্দুর রহিম (৪৫), বাকের আলীর ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০), আব্দুল মজিদ (৬০), মজাল মোল্লার ছেলে নওয়াব আলী (৬০), খয়বার সরদারের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৫০), কিরামত আলীর ছেলে আবু সাইদ (৫৫), মকবুল বিশ^াসের ছেলে মজনু বিশ^াস (৬০), সুনাই গাজীর ছেলে মনসুর গাজী (৫৫), বাদসা মিয়ার ছেলে আলমগীর (৪৫), ভুট্ট মোল্লার ছেলে মইন মোল্লা (২৬), আব্দুল গণির ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫৬), কওসার মোল্লার ছেলে লিয়াকত (২৫), মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৬), নাজর বিশ^াসের ছেলে মাসুদ বিশ^াস (৪৫), রমজানের ছেলে বাবর আলী (৪০), আলমগীরের ছেলে আবু তালহা (১২), আব্দুল্লাহ খন্দকারের ছেলে বেলাল হোসেন (৫০) সহ আরো কয়েকজন।
আহত আব্দুল মজিদ জানান, বুধবার রাতে যশোর সদরের নুরপুর গ্রাম থেকে তারা চরমোনাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় বাসে একই এলাকার ৪৫ থেকে ৫০ জন লোক ছিলো। চরমোনায় যাওয়ার পথে রাত ৩ টায় বাসটি বরিশালের গোরনদী এলাকায় পৌঁছানোর পর উল্টে যায়। এতে করে আমরা সবাই কম বেশি আহত হয়েছি। বাসটি যখন দূর্ঘটনায় পড়ে, তখন সেখানে কোন মানুষজন ছিলো না। হামিদুল বলেন, সেখান থেকে বরিশাল দূরে। তাছাড়া সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হলে সেবা দেয়ার মত কেউ থাকবে না। তাছাড়া সেখানে যেতে স্বজনদেরও কষ্ট হবে। এই বিবেচনাতে আমরা নিজেরাই একে অপরকে উদ্ধার করি। পরে যশোরমুখী বিভিন্ন যানের মাধ্যমে যশোরে চলে আসি। পথিমধ্যে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের সবাইকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেঘেছে। তবে সবাই অশঙ্কামুক্ত