যশোর প্রতিনিধি
যশোরে কাঁচা তরকারির সাথে অভিনব কায়দায় ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেই এক মাদক ব্যবসায়ী বেছে নিয়েছেন এমন কৌশল। ফলে দীর্ঘদিনযাবত রমরমা মাদক বাণিজ্যের পরও ওই মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উঠতি বয়সী যুব সমাজ।
সংশ্লিষ্টসুত্রে জানাগেছে, যশোর সদর উপজেলার ছোটনারানপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে ইমান আলীর স্থানীয় বাজারে ব্রিজের পাশে কাঁচা তরিতরকারির দোকান রয়েছে। তরকারি ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করেন। তার এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে একই গ্রামের জালালের ছেলে তুহিন ও বক্সের ছেলে সাদ্দাম। ইমান আলী সাদ্দামকে দিয়ে রেলগেট এলাকার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তাকিয়ার কাছ থেকে পাইকারী দামে ইয়াবা ও গাঁজা ক্রয় করেন। পরে তা দোকানে রেখে গোপনে বিক্রি করেন। তুহিন তার এজেন্ট হিসাবে ক্রেতাদের কছে ভ্রাম্যমানভাবে পৌঁছে দেয়। আর পরিচিত ক্রেতারা বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে তরকারির সাথে ইয়াবা ও গাজা ক্রয় করে থাকে। ফলে তরকারি ক্রয় করছে মনে করে কেউ মাদকদ্রব বিক্রির বিষয়টি বুঝতে পারে না। এভাবে কৌশলে সবার সামনে দীর্ঘদিন মাদকদ্রব বিক্রি করেও ইমান আলী রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, ‘ইমান আলী তরিতরকারি ব্যবসার পাশপাশি রমরমা মাদক বিক্রি করে চলেছে। উঠতি বয়সী যুবকরাই তার কাছ থেকে এসব মাদক বেশি ক্রয় করে। তরকারি ব্যবসার তার সাইনবোর্ড।’
এ ব্যাপারে ছোটনারানপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে ইমান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির বিয়ষটি অস্বীকার করেন। তাকে ফাঁসাতে এমন বানোয়াট তথ্য সাংবাদিকদের কাছে দেয় হচ্ছে বলে দাবী করে ইমন আলী।’
বিষয়টি জানতে চাইলে চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অল্প কিছু দিন এখানে যোগদান করেছি তাই বিষয়টি জানা নেই। তার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’#