যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরতলীর ধর্মতলা রেললাইন এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আবুল কালাম (৪০) নামে এক রঙ মিস্ত্রিকে মারপিট করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ এজাহার ভুক্ত ২ আসামিকে আটক করে।
নিহত আবুল কালাম ধর্মতলা রেল লাইনের পাশে ইব্রাহিম খলিলের ছেলে। নিহত আবুল কালামের স্ত্রী মোছা. সায়েরা বেগম (৩৭) বাদি হয়ে শুক্রবার ৫ নভেম্বর ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছে ধর্মতলা রেললাইনের পাশে জিন্দার শেখের ছেলে দিপু শেখ (৩৩) সদরের খোলাডাঙ্গা কদমতলা হ্যাচারিপাড়ার শাহআলম মিস্ত্রির ছেলে নাজমুল ওরফে নাজু (২৮) ধর্মতলা হঠাৎপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে আশিকুজ্জামান ওরফে ভাগ্নে সুমন (৩০) ধর্মতলা রেললাইনের পাশে দীপু শেখের স্ত্রী পলি বেগম (২৮)
আরবপুর মৎস্য ভবনের সামনে শ্রী অরুন ঋষির ছেলে শ্রী সাগর ঋষি (২৪) আরবপুর তিন খাম্বার মোড় মৎস্য ভবনের সামনে মধু সুইপারের ছেলে দিপন ওরফে ডাবল (২৫) ধর্মতলা রেলক্রসিং হিন্দুপাড়ার পাশে রমজান আলীর ছেলে রাজীব হোসেন (৩২)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল কালাম রং মিস্ত্রির কাজ করতো। আসামিরা খারাপ প্রকৃতির লোক। বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। বাদি সায়েরা বেগমের বাড়ির পাশে এক নং আসামি দীপু শেখ ও তিন নং আসামি পলির সাথে ৩/৪ মাস আগে আবুল কালামের জায়গা জমির সীমানা প্রচীর নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এর জের ধরে আসামিরা আবুল কালামকে বিভিন্ন সময় মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রæতার জের ধরে গত ২৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বসত ঘর থেকে আসামিরা জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়।
এরপর বাড়ির সামনে নিয়ে এক নং আসামি দীপু শেখ ও তিন নং আসামি পলির নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে থেতলানো জখম করে। আবুল কালামের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা আবুল কালামকে মারপিট করে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। পরে ৩০ অক্টোবর আবুল কালামের শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ নভেম্বর বাড়ি নিয়ে গেলে আবুল কালাম আবারো অসুস্থ্য হয়।
৪ নভেম্বর সকালে তাকে আবারো জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে আবুল কালাম হাসপাতালে মারা যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কামাল জানান, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর রাতে স্বামী-স্ত্রী দিপু শেখ ও পলি বেগমকে আটক করা হয়েছে।