যশোরে যুবককে ছুরিকাঘাত ও টাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা

যশোর প্রতিনিধি
পূর্ব শত্রুতার কারনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শহরের মনিহার রাজপিয়া হোটেলের সামনে শাহীন (৩০) নামে এক যুবককে গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১২শ’ টাকা ও ৯ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আহত যুবকের বড় ভাই যশোর শহরের বকচর চৌধুরী বাড়ির পূর্ব পাশের্^ মৃত আব্দুল মালেক মোল্যার ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ৫ জনের সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীর নাম উল্লেখ করেন। আসামীরা হচ্ছে, বর্তমানে যশোর শহরের আরএনরোড নলডাঙ্গা রোডের ওসি ওরফে সবুজ, বর্তমানে সদর উপজেলার মুড়লী মহসিন স্কুলের পিছনে শফির ছেলে হ্যাপি, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বর্তমানে যশোর নড়াইল বাসস্ট্যান্ড বাসের হেলপার শিপন,শহরের আরএনরোড নতুন বাজারের পাশের্^ আলমগীর হোসেনে ছেলে আপন ও ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কাওছারের ছেলে মামুন।
ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে মামলায় বলেন, আসামীরা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য ও পূর্ব শত্রুতার কারনে বাদির ছোট ভাই শাহীনকে খুন জখম করার হুমকী ও মারপিট করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। বাদির ভাই শাহীন গত ১ নভেম্বর সোমবার তার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য শহরের চিত্রা মোড় থেকে ইজিবাইকে রওয়ানা করে। রাত সাড়ে ৯ টায় মণিহার রাজপিয়া হোটেলের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌছালে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাদির ছোটর ভাই শাহীনের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। আসামী ওসি ওরফে সবুজ তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে বাদির ভাইয়ের দুই পায়ের রানে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত করে। আসামী হ্যাপি তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে বাদির ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে আঘাত করে। বাদির ভাই হাত দিয়ে ঠেকালে দুই হাতের তালুতে আঘাত করে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম করে। শিপন,আপন ও মামুন বাদির ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত ক রে গুরুতর জখম করে। এ সময় ওসি ওরফে সবুজ শাহীনের পকেটে থাকা ১,১৫০ টাকা নিয়ে নেয়। মামুন বাদির ভাইয়ের হাতে থাকা একটি টাচ্ মোবাইল ফোন যার আনুমানিক মূল্য ৯০০০ হাজার নিয়ে নেয়। শাহীনের চিৎকারে আশা পাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঠেকাতে এলে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে চলে চায়। স্থানীয় লোকজন শাহীনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।#