বিশেষ প্রতিনিধি
জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার কারনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দুই নারীকে মারপিট ও এক জনের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুর করে ১লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের নওদাগ্রাম পশ্চিম পাড়ায়। মামলায় আসামী করা হয়েছে প্রতিবেশী ৬জনকে। আসামীরা হচ্ছে, ওই গ্রামের মৃত আব্বাস মোল্যার ছেলে গৌছির মোল্যা, সহোদর লিয়াকত মোল্যা, লিয়াকত আলী মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম সাবু, তোরাপ মোল্যার ছেলে সাগর, লিয়াকত আলীল মোল্লার ছেলে হাসান ও মৃত আব্বাস আলী মোল্লার ছেলে তোরাবসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
ওই গ্রামের মৃত সাখাত আলী মোল্লার ছেলে নূর ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামীদের বাড়ি বাদির বাড়ির পাশাপাশি। আসামীদের সাথে তাদের জমি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। আসামীরা ইতিপূর্বে বাদি ও তার পরিবারকে মারপিট ও বাড়িঘর এবং বাথরুম ভাংচুর পর্যন্ত করে ক্ষতি সাধন করেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় আসামীরা বাদির স্ত্রী আল্লাদী বেগম (৪৫) ঘরে অবস্থান কালে আসামীরা হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদির মা বোন তুলে গালিগালাজ করতে থাকে। বাদির স্ত্রী আল্লাদী বেগম প্রতিবাদ জানালে তাকে গৌছির মোল্লার হুকুমে রবিউল ইসলাম সাবুর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে স্বজোরে আঘাত করে। এতে আল্লাদী বেগমের হাড় ভাঙ্গা জখম হয়। এসময় তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বাদির ছোট ভাই ফারুক হোসেনের স্ত্রী নারগিস বেগম ঠেকাতে এলে তাকেও মারপিট করে। আসামীরা বাদির বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ১লাখ টাকা ক্ষতি সাধণ করে। আল্লাদী বেগম,নারগিস ডাক চিৎকার দিলে বাদিসহ অন্যান্যরা দৌড়ে ঠেকাতে এলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আল্লাদী বেগমকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নারগিস বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।#