অপহরণের পর অস্ত্র ঠেকিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি: রোববার যশোরে মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর অস্ত্র ঠেকিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক নারী ও তার ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান জানান, তিনি সোলার পাওয়ার লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার। কোম্পানির টাকা কালেকশনের জন্য তিনি গড়াই পরিবহনের একটি বাসে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোরে আসেন। শংকরপুরে কেন্দ্রীয় বাসটারমিনালে বাস থেকে নামার পর যশোর কলেজ রোড দিয়ে হেঁটে মণিহারের দিকে যাচ্ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি দোতলা বাড়ির সামনে চার যুবক তার পথরোধ করে। ওই যুবকরা তার পরিচয় এবং কোথায় যাবেন তা জানতে চায়। একপর্যায়ে যুবকেরা তাকে ধরে দোতলা একটি বাড়ির নিচতলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি ঘরের ভেতর আটকে মারধর এবং তার কাছে থাকা নগদ ৭০০ টাকা কেড়ে নেয়। ওই সময় তার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেয় যুবকরা। প্রাণ বাঁচাতে তিনি ফোন করে স্বজনদের কাছে টাকা চান। স্বজনরা বিকাশ ও রকেট নাম্বারে মোট ১৬ হাজার টাকা পাঠালে তিনি তা যুবকদের দেন। এরই মধ্যে যুবকরা এক নারীকে সেখানে এনে তার সাথে ছবি তোলার ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এবং আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যুবকরা ঘরের দরজা খুললে তিনি কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে বিকেলে কোতয়ালী থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন।
থানার এসআই আ ফ ম মনিরুজ্জামান জানান, যশোর কলেজ রোডের ওই বাড়ির মালিক জাফরের স্ত্রী ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।