বিশেষ প্রতিনিধি
ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে একটি মোবাইল ১০ হাজার টাকায় বিক্রির প্রলোভন দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তুহিন মাতুব্বর (২১) নামে এক যুবককে শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর চাঁচড়া বাজার থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিটসহ ছুরি দিয়ে হত্যার হুমকী দিয়ে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। ঘটনার পর কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ এক শিশু দস্যুসহ তিনজকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও একটি ধারালো চাকু গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া (বারেক সড়ক রঞ্জুর বাড়ির ভাড়াটিয়া) মজনু ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন, চাঁচড়া বাজার মোড়ের পান্নু গাজীর ছেলে আব্দুর রহিম ও মাহিদিয়া পূর্বপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল আল মামুন। এ সময় তাদের সহযোগী সদর উপজেলার কচুয়া রাজারহাট এলাকার আবির হোসেনের ছেলে আসিফ হোসেন পালিয়ে যায়।
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার বড় বালিয়া গ্রামের বিকুল মাতুব্বরের ছেলে তুহিন মাতুব্বর শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টা হতে ১২ টার মধ্যে আসিফ হোসেনের সাথে তার ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। আসিফ হোসেন রেডিমি নোট ৯ মোবাইল ফোন ১০ হাজার টাকায় বিক্রয় করবে বলে তুহিন মাতুব্বরকে জানায়। বাদি তার কথা বিশ^াস করে এবং মোবাইল কিনতে আগ্রহী হওয়ায় আসিফ বাদিকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার চাঁচড়া বাজারে ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় টাকা নিয়ে আসতে বলে। বাদি তার কথা মতো ওই দিন সকাল সোয়া ১১ টায় চাঁচড়া বাজারে উপস্থিত হলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদিকে চাঁচড়া বাজার থেকে ডেকে নিয়ে চাঁচড়া ডালমিলস্থ চাঁচড়া রাজবাড়ী কবরস্থানের প্রধান গেটের সামনে বেলা সাড়ে ১১ টায় নিয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে পূর্ব থেকে অবস্থান করা রাকিব হোসেন, আব্দুর রহিম ও আসিফ হোসেনসহ সকল দস্যুরা বাদির উপর অর্তকিত হামলা করে। এলোপাতাড়ী মারপিট করে। রাকিব হোসেন ও আসিফ হোসেন বাদিকে ছুরি দিয়ে হত্যার হুমকী দিয়ে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত চলে যায়। বাদির ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে বিষয়টি জানায়। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ আসায় বাদির কথা শুনে ও বাদির দেখানো মতে উক্ত দস্যুদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় রাকিব হোসেনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ও ধারালো চাকু উদ্ধার করে। এ সময় আসিফ হোসেন পালিয়ে যায়। শনিবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে।