মনিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুরের কুলটিয়া গ্রামে এক রশিতে ৩ বছরের মেয়ে কথাকে ঝুলিয়ে মারার পর মা পিয়া মণ্ডল (২২) আরেক রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী কলেজ শিক্ষক কণার মণ্ডলকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে যশোরের মনিরামপুরের কুলটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন সন্ধ্যায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সংবাদ পেয়ে সহকারি পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন, থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷
জানা যায়, প্রায় বছর চারেক আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা অভয়নগর থানার দত্তগাতী গ্রামের ভগিরথ মণ্ডলের মেয়ে পিয়ার সঙ্গে কণার মণ্ডলের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরই কথার জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে কণার মণ্ডলের পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া লেগে থাকত। এরই জেরে মাস খানেক আগে শিশু সন্তান কথাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায় পিয়া মণ্ডল। ভাল হওয়ার আশ্বাস দিয়ে স্ত্রী পিয়াকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন স্বামী কণার মণ্ডল।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, পিয়া মণ্ডলের স্বামী কণার মণ্ডল স্থানীয় মশিয়াহাটি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তারা কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মণ্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকত। এদিন বিকেলে ভাড়া বাড়ির রান্নাঘর থেকে দুই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থার তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডপয়া মণ্ডলের মা শিপ্রা মণ্ডল বিলাপ করে বলছিলেন, জামাই কণারকে বহুবার ভাল হতে বলেছি কথা শুনেনি। মেয়েটাও তাকে ( কণার) বিপথ থেকে ফিরে আসতে বললেই মারপিট করত।
ডপয়া মণ্ডলের ভাই চন্দন মণ্ডল জানান, তাদের প্রতিবেশীর একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে কণার মণ্ডল। এ নিয়ে বোন পিয়ার সঙ্গে কণার মণ্ডলের কলহ হয়েছে। শুধু এখানে নয়, কণার মণ্ডলের একাধিক পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে মারার পর পিয়া আরেক রশিতে আত্মহত্যা করেছেন। স্বামী কণার পরকীয়া প্রেম সম্পর্কের কারণে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এ নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে এবং সার্বিক তদন্ত করে আত্মহত্যার পুরো রহস্য উন্মোচন হবে।