যশোর প্রতিনিধি
যশোর মুড়লী মোড়স্থ আল নাঈম এন্টারপ্রাইজ নামক বাস কোম্পানীর হেড অফিসের সামনে থেকে উক্ত কোম্পানীর সুপার ভাইজার সুভেন্দু দাশ নগদ ১লাখ ৪০ হাজার টাকা, তেল পাম্পের বকেয়া ৪৮ হাজার টাকা ও স্টাফ বেতনসহ ঈদ বোনাস ৮ হাজার ৭শ’ টাকাসহ ২লাখ টাকা নিয়ে প্রতারনা পূর্বক লাপাত্তা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার ২ আগষ্ট উক্ত সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে অপরাধ মূলক বিশ^াসভঙ্গে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, কোম্পানীর সহকারী পরিচালক যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া ফুলতলার মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল। আসামী সুভেন্দু দাশ খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাজী মুছা গ্রামের রবীন দাশের ছেলে।
সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল দায়েরকৃত মামলায় বলেছেন, তাদের ক্রয়কৃত একটি যাত্রীবাহী পরিবহন আল নাঈম এন্টার প্রাইজ নামক বাস যার রেজিষ্ট্রেশন নং (ঢাকা মেট্টো ব-১১-০৮৯৫) এর সুপার ভাইজার সুভেন্দু দাস বিগত ৩/৪ বছর যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৯ জুলাই দুপুরে গাজীপুর মাউনা থেকে খুলনা পাইকগাছার উদ্দেশ্যে উক্ত বাসটি ছেড়ে আসে। বাসটি রওয়ানা করার পূর্বে সুপার ভাইজার সুভেন্দু দাশের কাছে কোম্পানীর ৪টি বাসের আপডাউন ক্যাশ বাবদ নগদ ১লাখ ৪০ হাজার টাকা,তেল পাম্পের বকেয়া ৪৮ হাজার টাকা,স্টাফ বেতনসহ ঈদ বোনাস বাবদ ৮ হাজার ৭শ’ টাকাসহ ১লাখ ৯৬ হাজার ৭শ’ টাকা প্রদান করে । টাকা প্রদান করার পর কোম্পানীর জি.এম জিল্লুর রহমান সহকারী পরিচালক বাবুলকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবহিত করেন। সুপার ভাইজার সুভেন্দু দাষ কোম্পানীল বাসটি নিয়ে ২১ জুলাই রাত ৯ টায় যশোর মুড়লী মোড়স্থ আল নাঈম এন্টার প্রাইজ নামক বাস কোম্পানীর হেড অফিসের সামনে এসে থামে। বাসের মধ্যে সুপার ভাইজার সুভেন্দু দাশকে দেখে বাবুল এগিয়ে যেয়ে তার কাছে টাকা হিসাব চাইলে সুভেন্দু দাস বাবুলকে বলে ভাই রাত জেগে এসেছি কিছু একটা খেয়ে আসছি। সুভেন্দু দাশকে খাওয়ার সম্মতি দিলে সে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। অনেক সময় অতিক্রান্ত হলেও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির এক পর্যায় না পেয়ে কোম্পানীর কর্মকর্তাদ্বয়কে জানিয়ে থানায় মামলা করেন।#