যশোর প্রতিনিধি
যৌতুক লোভী বাবুর আলী ওরফে বাবর আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাড়াভাঙ্গা গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী দক্ষিণপাড়ার প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া নাসির উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে গৃহবধু স্বর্ণালী আক্তার তিথি বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জিয়াউর রহমানের মেয়ে স্বর্ণালী আক্তার তিথি বাদি হয়ে শনিবার ৩১ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে যৌতুক লোভী স্বামীর বাবুর আলীর বিরুদ্ধে মামলায় উল্লেখ করেন, গত বছর ২০২০ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর যশোর শহরের খড়কী দক্ষিণপাড়ার প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তিনি পরে জানতে পারেন ইতোপূর্বে বাবর আলীর ২/৩টি বিয়ে হয়েছে। বিয়ের সময় বাবুর আলী নিজে সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন বলে জানালেও পরে জানতে পারেন সেনাবাহিনী থেকে সে চাকরিচ্যুত। তার স্বভাব চরিত্র ভাল না। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী গৃহবধূর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা না পেয়ে শারীরিক ও মানুসিকসহ নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গৃহবধূ টাকা দিতে অস্বীকার করলে নেশা করে ক্রমেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় স্বামী বাবুর আলী। গৃহবধূ তার পবিরবারের সদস্যদের জানালে তারা তার সুখের কথা ভেবে আসবাবপত্র, গহনা, মূল্যবান কাপড়সহ ইতিপূর্বে সাড়ে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিছুদিন বাবুর আলী চুপ থাকার পর ফের আবার ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। মারপিট ও নির্যাতনের এক পর্যায় গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তিথি মহেশপুরে তার মায়ের কাছে উঠেন। শুক্রবার ৩০ জুলাই মোবাইল ফোনে বাবুর আলী গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে গৃহবধূকে যশোরের ভাড়া বাড়িতে ফিরতে বলে । ৩১ শনিবার জুলাই যশোরের ভাড়াবাড়িতে ফিরলে সেখানে গৃহবধূর উপর স্বামী বাবুর আলী ফের যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। টাকা না দিলে তার সাথে সংসার করবে বলে জানায় এবং মারপিট করে বাড়ি থেকে ফের তাড়িয়ে দেয়। পরে তিনি বাধ্য হয়ে স্বামী বাবুর আলীর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। কোতয়ালি থানার এসআই সাব্বির হাসান জানিয়েছেন, যৌতুক আইনে দায়েরকরা মামলায় বাবুর আলী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।#