যশোর প্রতিনিধি: যশোর মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা পল্লীর স্কুল ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় আটক সবুজ গাজী আদালতে তার জবানবন্দিতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সবুজ গাজী একই উপজেলার পোড়াডাঙ্গা গ্রামের ছাত্তার গাজীর ছেলে। ওই ছাত্রীর সাথে সবুজের বন্ধু পোড়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিনের সাথে প্রেম ছিল। প্রেমের সম্পর্ক ধরে ইয়াসিন তাকে বিয়ে করবে বলে বাড়িতে নিয়ে এনে ধর্ষণ করে বলে তিনি জানান।
অাজ রোববার যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মামুনুর রহমান আসামির এ জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সবুজ আরো জানিয়েছে, সে পেশায় রঙ মিস্ত্রী। গত ২৭ জুলাই ইয়াসিন তাকে ফোন করে জরুরী দেখা করতে বলে। এরপর এনামুলের দোকানের সামনে দেখা হলে কথা আছে বলে কালী মন্দিরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে ওই স্কুল ছাত্রীকে অন্ধকারে ব্যাগ হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর ইয়াসিন তাকে সাথে নিয়ে তাদের বাড়িতে যায়। এরপর সবুজ বাড়িতে চলে যায়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে সবুজের সহযোগীতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইয়াসিন। রাতে তার ঘরে আটকে ধর্ষণ করে পরেরদিন বিয়ে করবেনা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা ইয়াসিন ও সবুজকে আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।