যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে তার শ্বশুর বাড়িতে;এতে তার স্বজনরা বলছেন ‘তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে’ আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
সোমবার রাত অবধি নিহত শরিফুল ইসলামের (৪০)লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে বলে জানান যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের মেম্বার জিয়াউর রহমান।
ওই যুবক শরিফুল ইসলাম যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের হানেফ মোড়লের ছেলে।তার শ্বশুর আবুল হোসেন হোসনার বাড়ি একই জেলার অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রামে।
শরিফুলের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, রোববার গভীর রাতের কোন এক সময় তার স্বামী ঘরের আড়ার সাথে ওড়না গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তবে শরিফুলের বাবা হানেফ মোড়ল বলেন,ছেলে বিদেশ থেকে বউ এর কাছে টাকা পাঠাতো।দেশে এসে পাঠানো টাকার হিসেব চাইলে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় এনিয়ে অশান্তি লেগে থাকতো।
আর শরিফুল বিদেশ যাওয়ার পর শিল্পী তার বাবার বাড়ির এলাকায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।ওই টাকা এবং পরকীয়া পাকাপোক্ত করার জন্নি পরিকল্পিত ভাবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে অভয়নগর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।এটি আত্নহত্যা না হত্যা সেটি এখনই বলা সম্ভব না।ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
শরিফুলের মা সামছুন্নাহার সামু ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে আর প্রলাপ বকছে।
সামছুন্নাহার সামু বলেন,আমার ছেলে কালকে (রোববার)শ্বশুর বাড়ি গেল।ও আত্নহত্যা করতি পারেনা।ওর বালিশ চাঁপা দিয়ে মেরেছে।আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
ওর মামা আকবার আলি ধুদুলি বলেন, আমার ভাগ্নে ১৮ বছর মালয়েশিয়ায় ছিল।গত অগাস্ট মাসে সে দেশে ফিরেছে। করোনার কারনে আর যেতে পারেনি।ওখান থেকে বউয়ের কাছে টাকা পয়সাসহ দশ ভরি সোনা পাঠায়।এসব নিয়ে সে বাবার বাড়ি চলে যায়।সে বউ আনার জন্নিই গেল।
“আমরা লাশ আনতি গেলি বাড়ি কারো পাইনি।তারা আমাদের দেখে সবাই পালিয়েছে।