যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনোয়ার হোসেন বিপুল। লিখিত বক্তব্যে তিনি এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আমার বাসভবনে বোমা হামলা করা হয়েছে। খুব পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই বোমা হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই সরকারি সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। মূলত আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে বোমা হামলার মতো ঘৃর্ণিত পথ বেছে নিয়েছে। আমার এই তৎপরতাকে থামিয়ে দিতেই আমার বাড়িতে গভীর রাতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,গত বছর সেপ্টেম্বরে আমাকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে আমি আপনাদের সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলাম। সেই সংবাদ সম্মেলনের পর আমার রাজনৈতিক সহকর্মীরা সরবহোন। তারা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে রাজপথে নেমে আসেন। এ কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা নিশ্চুপ হয়ে যায়। তবে কিছু সময়ের জন্য তারা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা বন্ধ করলেও তাদের অপরাজনীতি থেমে ছিলো না। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার গভীর রাতে আমার বাড়িতে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমি এই অপরাজনীতির শেষ চাই। যশোর থেকে সন্ত্রাসের রাজনীতি, গুন্ডামির রাজনীতির অবসান চাই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক ও মানবিকতায় বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষমতালোভী, দাম্ভিক, ষড়যন্ত্রকারীর অপরাজনৈতিক তৎপরতার কারণে সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, আমি চাই যশোর থেকে সন্ত্রাস, অপরাজনীতি দূর করতে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি আমার জীবননাশের পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফারুক আহমেদ কচি, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আবু সেলিম রানা, জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি দাউদ হোসেন দফাদার, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনির হোসেন টগর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন মিঠু, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন মুকুল, জেলা মহিলালীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিলা আফরোজ মিমি, যশোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ শেখ মোকছিমুল বারী অপু, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল, কামাল হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহরাব হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মাজহার, যুগ্ম-আহবায়ক শহীদুজ্জামান শহীদ, পৌর কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান রিপন, পৌর কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, পৌর কাউন্সিলর সাহেদ হোসেন নয়ন, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুর রহমান শহিদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক, জেলা শ্রমিকলীগের শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা পান্নু, দেয়াড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাফর ইকবাল, চিত্রনায়ক সাহের খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করীম রহমান, শহর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রেযোয়ান হোসেন মিথুন প্রমুখ।